পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ আমি আপনিই আশ্চৰ্য্য হয়ে গেছি। আপনাদের সঙ্গে আবার শীঘ্ৰ দেখা হবার সম্ভাবনা থাকলে আজ হয় ত আসতাম না। এই পথটা আসতে আমার সত্যিই ভারি কষ্ট হয়েছে। বিজয়া তেমনি নিঃশব্দে রহিল ; বোধ করি, সে কথাটা ঠিক বুঝিতেও পারিল না । নরেন দুধের বাটিটা নিঃশেষ করিয়া রাখিয়া দিয়া কহিল, আপনারা বোধ করি শোনেন নি যে, আমি ও এখানকার চাকরী Czo দিয়েছি। আমার আজকে তাড়াতাড়ি আসবার এও একটা বড় কারণ, বলিয়া পকেট চাইতে একখানা লাল রঙের চিঠির কাগজ বাহির করিয়া কহিল, আপনার বিবাহের নিমন্ত্রণা-পত্ৰ আমি পেয়েছি। কিন্তু, দেখে যাবার সৌভাগ্য আমার হবে না। সেই দিন সকলেই আমাদের জাহাজ করাচি থেকে ছাড়বে। বিজয়া ভীত হইয়া বলিল, করাচি থেকে ! আপনি * কোথায় যাচ্ছেন ? নরেন কহিল, সাউথ আফ্রিকায়। পশ্চিমে ও একটা যোগাড় হয়েছিল বটে, কিন্তু, চাকুরী যখন করতেই হবে, তুংখুন বড় দেখে করাই ভাল। আমার পক্ষে পাঞ্জাবও যা, কেপ-কলোনিও ত তাই । কি বলেন ? হয় ত, আমাদের আর কখনো দেখাই হবে না । শেষের কথাগুলা বোধ করি, বিজয়ার কানেও গেল না। সে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন-কণ্ঠে প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করিতে লাগিল,-নলিনী কি রাষ্ট্ৰী হয়েছেন ? হলেও বা আপনি এত শীঘ্ৰ কি কোরে যেতে পারেন, আমি ত - বুঝতে পারিনে ? তাকে সমস্ত খুলে বলেছেন কি ? আর এত দূরেই বা তিনি কেমন কোরে মত দিলেন ? 38s