পাতা:দত্তা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ বিলাস পিছন হইতে হাসির ভঙ্গীতে বলিল, থাকৃবার মধ্যে একটা তে-পেয়ে খাট ছিল—তার উপরেই বোধ করি তার শর্মািন চলত, আমি সেটা বাইরে গাছতলায় টেনে ফেলে দিয়েছি, তঁর ইচ্ছে হ'লে নিয়ে যেতে পারেন-কোন আপত্তি নেই। বিজয়ী চুপ করিয়া রহিল, কিন্তু তাহার মুখের উপর সুস্পষ্ট বেদনার চিহ্ন লক্ষ্য করিয়া ব্লাসবিতার স্মাৎসনাক্স কণ্ঠে ছেলেকে বলিলেন, ওটা তোমার দোষ বিলাস। মানুষ যেমন অপরাধীই হোক, ভগবান তাকে যত দণ্ডই দিন, তার দুঃখে 'আমাদের দুঃখিত হওয়া, সমবেদনা প্ৰকাশ করা উচিত। আমি বলছিনে, যে, তুমি অন্তরে তার জন্তে কষ্ট পাচ্চ না, কিন্তু, বাইরে ও সেটা প্ৰকাশ করা কীৰ্ত্তব্য । জগদীশের ছেলের সঙ্গে তোমার কি দেখা হয়েছিল ? তাকে একবার 'আমার সঙ্গে দেখা করতে বললে না কেন ? দেখতুম, যদি কিছু পিতার কথাটা শেষ হইতেও পাইল না,-পুত্র তাহার ইঙ্গিতটা, সম্পূর্ণ ব্যর্থ করিয়া দিয়া মুখে একটা শব্দ করিয়া বলিয়া’ উঠিল, তার সঙ্গে, দেখা ক’রে নিমন্ত্রণ করা ছাড়া আমার ত, আর কাজ ছিল না বাবা। তুমি কি যে বল, তার ঠিকানাই নেই। তা’ ছাড়া আমার পৌছাবার পূর্বেই ত ডাক্তার-সাহেব তার তোরঙ্গ, প্যাটরা, যন্ত্র পাতি গুটিয়ে নিয়ে স’রে পড়েছিলেন। বিলাতের ডাক্তার। একটা অপদাৰ্থ হামবাগ কোথাকার। মিলিয়া সে আরও কি সব বলিতে যাইতেছিল, কিন্তু রাসবিহারী বিজয়ার মুখের প্রতি আড়-চােখে চাহিয়া ক্রুদ্ধ কণ্ঠে কহিলেন, না। বিলাস, তোমায় এ রকম কথাবাৰ্ত্তা আমি মাৰ্জন কয়ুতে পারি নে। নিজের ব্যবহারে তোমার লজ্জিত হওয়া উচিত-অনুতাপ করা উচিত। అ}