পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wrfs চলুন ওপরে। আপনি যে-রকম মানুষ, তাতে পাটের আড়তদার হওয়া উচিত ছিল না, উচিত ছিল কবি হওয়া। আসুন। এইদিন হইতে গদাধর আড়ত হইতে সন্ধ্যার পরে প্রায়ই দেরীতে বাড়ী ফিরিতে লাগিলেন। অনঙ্গ প্রথম-প্ৰথম কত বকিত, রাগ করিত, এত রাত হইবার কারণ কি-শরীর খারাপ হইলে টাকায় কি হইবে ? এত পরিশ্রম শরীরে সহিবে কেন ? ইত্যাদি । গদাধর প্রায়ই কোনো উত্তর দিতেন না। যখন দিতেন, তখন নিতান্তই সংক্ষেপে । কি যে তার অর্থ, তেমন পরিষ্কার হইত না । বাড়ী ফিরিয়া গদাধর সব দিন খাইতেনও না, না খাইয়া শুইয়া পড়িতেন। অনঙ্গ নিজেদের শোবার ঘরে খাবার আনিয়া যত্ন করিয়া জাল দিয়া ঢাকা দিয়া, জাগিয়া বসিয়া থাকে, স্বামী কখন আসিয়া কড়া নাড়িবেন-কারো সাড়া না পাইলে রাগ করিয়া বসিবেন হয়তো ! শীত চলিয়া গেল । ফাগুনের প্রথম সপ্তাহ । এবার পাটের কাজে বেশ লাভ হইয়াছে-গদাধর সেদিন কথায়কথায় প্ৰকাশ করিয়াছেন স্ত্রীর কাছে। দোল-পূর্ণিমার রাত্রি। অনঙ্গ বাড়ীতে সত্যনারায়ণের পূজার ব্যবস্থা করিয়াছে—পূজা হইবার পরে আড়াতের লোকজন খাওয়ানো হইবে, আশপাশের দু’চারজন প্রতিবেশীকেও নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে। to o