পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি আড়তের কৰ্ম্মচারীদের বসাইয়া লুচি খাওয়ানো হইবে, বাকি সকলকে সত্যনারায়ণের প্রসাদ ও ফলমূল, মিষ্টান্ন ইত্যাদি দ্বারা জলযোগ করানো হইবে । অনঙ্গ সারাদিন উপবাস করিয়া আছে, স্বামী ফিরিলে পূজা আরম্ভ হইবে এবং তাহার পর সকলকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা । পাশের গলিতে সিধুর মা নামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ-বিধবা খোলার ঘর ভাড়া লইয়া বাস করেন, তাহার একটি মাত্র ছেলে সামান্য মাহিনীর চাকুরী করে । অনঙ্গ ভঁাহাকে এবেলা খাইতে বলিয়াছে কিন্তু তিনি আসিয়া পূজার নৈবেদ্য ইত্যাদি গুছাইয়া দিয়াছেন।--অনঙ্গ তাঁহাকে একটু অনুরোধ করিয়াছিল সন্ধ্যার পরে, তিনি বলিয়াছেন,-“এখন কেন মা, পূজো-আচ্চা হয়ে যাক, বিধবা মানুষ, একেবারে সকলের শেষে যাহয় কিছু মুখে দেবো । তুমি রাজরাণী হও ভাই, তোমার বড় দয়া গরীবের ওপরে !! আমার ছেলে তো মাসিমা বলতে অজ্ঞান ! সন্ধ্যার পরে পূজা আরম্ভ হইল। লোকজন একে-একে আসিতে আরম্ভ করিয়াছে। পাশের বাড়ীর ভদ্রলোকেরাও আসিলেন। এখনও গদাধর আসেন নাই-তিনি আসিলেই নিমন্ত্রিতদের খাওয়ানো সুরু হইবে । অনঙ্গ আজ খুব ব্যস্ত। নিজে সে রান্নার তদারক করিয়াছে বৈকাল হইতে । সব দিকে চোখ রাখিয়া চলিতে হইয়াছে, যাহাতে কেহ কোন ত্রুটি না ধরে। পূজা শেষ হইয়া রাত হইয়া পড়িল । নিমন্ত্রিত ভদ্রলোকেরা একটু বাস্ত হইয়া পড়িয়াছেন, গৃহস্বামী এখনও আসেন নাই! দু’একজন তাগাদাও দিলেন, তাহদের সকাল-সকাল বাড়ী ফিরিতে হইবে, কাজ আছে। অন্যত্ৰ । o di