পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি হরিয়া চাকরকে ডাকিয়া অনঙ্গ বলিল-দ্যাখা তো, আড়ত থেকে কেউ এসেচে ? হরিয়া বাহিরের ঘর দেখিয়া আসিয়া বলিল-চার-পাঁচজন এসেচে মাইজি। তবে ভড়ামশায় আসেননি এখনো । সিধুর মাকে ডাকিয়! অনঙ্গ বলিল--কি করবো দিদি, সব খেতে বসিয়ে দিই, কি বলেন ? উনি বোধ হয়। কাজে আটকে পড়েছেন । ভড়ামশায় যখন আসেননি।--তখন দু’জনে কাজ শেষ ক'রে চাবি দিয়ে একসঙ্গে আসবেন । এদের বসিয়ে রেখে কি হবে ? সিধুর মা বলিলেন—তাই বসিয়ে দাও। আমি সব দিয়ে আসচি গিয়ে--"আমায় সাজিয়ে দাও । বাহিরের লোক সব প্ৰসাদ খাইয়া চলিয়া গেল । আড়াতের লোকদের খাওয়াইতে বসান হইল না, গদাধর ও ভড়ামশায়ের অপেক্ষায় । রাত ক্ৰমে দশটা বাজিল । তখন আর কাহাকেও অভুক্ত রাখিলে ভালো দেখায় না, সিধুর মার পরামর্শে তাহদেরও বসাইয়া দেওয়া হইল । তাহাদের খাওয়া শেষ হইল, রাত তখন প্ৰায় এগারোটা । পরিপূর্ণ জ্যোৎস্না রাত্রি-গ্যাস ও ইলেক্‌টিকের আলোর বাধা ঠেলিয়াও এখানে-ওখানে স্ব-মহিমা প্ৰকাশ করিতেছে। এমন সময় ভড়ামশায় আসিলেন-একা । অনঙ্গ ব্যস্ত হইয়া বাহিরের ঘরের দরজার কাছে আসিয়া ভড়মশায়কে বলিল-উনি কই ? এত দেরী কেন আপনাদের ? ভড়ামশায় বলিলেন-আমি হাটখোলায় তাগাদায় বেরিয়েছি 8 ఫి