পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনায়াসে দেখিতে পারে-আমি বলি কি, ফিল্মের ব্যবসায় যদি নেমে যাও—এ ব্যবসায় সারা পৃথিবী কি-টাকাটা অনায়াসে রোজগার করিতেছে! এ কারবারে লোকসানের কোনো ভয় নাই, শুধু লাভ আর লাভ ! তাছাড়া এই সব মেয়ে-তোমাকে একবারে শচীন ওস্তাদ মানুষ• • • মানুষ চরাইয়া খায়। জানে, কোন টোপে কোন মানুষকে গাথা যায়।" - শচীন বলে—কিছু না সামান্য পুজি ফেলো-নিজে গ্যাটু হইয়া সেখানে বসিয়া থাকে। দিনের কাজের হিসাব রাখে। স্টুডিও ভাড়া পাওয়া যায়-ফিল্মের রোল ধারে মত চাও-গাট হইতে কিছু টাকা ছাড়ো-ছবির তিন-ভাগ চার-ভাগ তোলা হইবামাত্ৰ-ডিষ্টিবিউটর আসিয়া কমন্সেকম আগাম ষাট-সত্তার হাজার টাকা নিজের তহবিল হইতে বার করিয়া দিলে,-"তার পাঁচ গুণ টাকা আদায় হইয়া আসিবে-ছবি তৈয়ার হইলে সে ছবি ঘুরিবে সারা বাঙলা মুল্লুকে-তার হিন্দী করো, হোলা-ইণ্ডিয়া । একখানা ছবির বাঙলা-হিন্দী দু-ভার্শনে এক বছরে নিট লাভ বিশ-পাঁচিশ লাখ হইবে। দু-চারিটা দৃষ্টান্তও শচীন দিল— ঐ সব কোম্পানির মালিক ফিল্ম কোম্পানির অফিসে কেরানীগিরি করিত দেড়শো-দুশো টাকা মাহিনায়। এদিকে নজর রাখিয়া চলিত-ফশা করিয়া মাড়োয়ারি ক্যাপিটালিষ্ট ধরিয়া আজ অত বড় কোম্পানির মালিক ! মোটর ছাড়া পথ চলে না-কি। প্রকাণ্ড বাড়ী করিয়াছে আলিপুরে! টাকার কুমীর বনিয়াছে। কি মান, কি ইজজৎ • ছেলেকে বিলাত পাঠাইয়াছে - নিরেট ছেলে একবার বিলাত ঘুরিয়া আসিলেই--ব্যাস ! ܛ ܡ