পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দলপতি দিনের পর দিন রীতিমত চাকুরি করিয়া যাইতে লাগিল। কিন্তু শচীন লক্ষ্য করিল, শোভার মুখ ভার-ভার, সে কোনোখানেই তেমন মেলামেশা করে না লোকের সঙ্গে, তবু আগে যাহাও একটু-আধটু করিত, এখন একেবারেই তা করে না। নিজের গাড়ীতে ষ্টুডিওতে ঢোকে, কাজ শেষ করিয়া গাড়ীতেই বাহির হইয়া যায়। সেদিন তাহার সঙ্গে অল্প কয়েক মিনিটের জন্য কথা বলিবার সুযোগ ঘটিল অলকার। গাড়ীতে উঠিতে যাইবে শোভা, সামনে অলকাকে দেখিয়া সে একটু অপেক্ষা করিল। অলকা বলিল-কি, আজকাল যে বড় ব্যস্ত, কেমন আছে। শোভা ? --ভালোই আছি। তুই যাসনে কেন আমার ওখানে ? —একটু ব্যস্ত ছিলাম ভাই—যাবে শীগগির একদিন । যাক, আর ক'দিন আছো আমাদের এখানে ? শোভ! হাসিয়া বলিল-বরাবর আছি। ঘাড় থেকে ভূত নেমে (55 অলকা খুশী হইয়া বলিল—নেমেচে ? সত্যি নেমেচে ভাই ? -নেমেচে । আচ্ছা, চলি তবে । শচীন অলকার মুখে সংবাদটা শুনিয়া নিতান্তই খুশী হইয়া উঠিল। সেইদিনই সে শোভার ওখানে গেল। মনের উল্লাস চাপিতে না পারিয়া কথায়-কথায় বলিল-তারপর, একটা কথা আজ অলকা গুপ্তার মুখে শুনে বড় আনন্দ হলো শোভা । --কি কথা ? কার সম্বন্ধে ?