পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনঙ্গ একদৃষ্টে স্বামীর মুখের দিকে চাহিয়াছিল। অনেকদিন দেখে নাই-প্ৰায় পনেরো-ষোলো দিন। স্বামীর স্বাস্থ্য ভালো হইয়াছে, চেহারায় গেয়াে-ভাবটা অনেকদিন হইতেই দূর হইয়াছিল— বেশ চমৎকার চেহারা ফুটিয়াছে। তবুও অভিমানের নীরসন্তা কণ্ঠে আনিয়া সে বলিল-ভালো থাকি আর না থাকি, তোমার তাতে কি ? দেখতে এসেছিলে একদিন, মরে গিয়েছে বাড়ীসুদ্ধ, না বেঁচে আছে ? --তুমি আজকাল বড় রাগ করে। আমি কাজ নিয়ে বড় ব্যস্ত আছি, স্টুডিওতে খাই, ষ্টুডিওতেই শুই-তাই সময় পাইনে-কিন্তু ভড়ামশায়ের কাছে রোজই খবর পাচ্চি ফেনে-রোজ ফোন করি গাদিতে । --বেশ করে । না করলেই-বা কি ক্ষতি ? --কার কথা বলবো-তোমার, না। আমার ? -দুজনেরই। যাক, এখন কি মনে ক’রে অসময়ে ? খাওয়া হয়নি, তা মুখ দেখেই বুঝতে পারাচি। ঘরে গিয়ে বোসো, আমি মাছ ক'টা ধুয়ে আসচি। একটু পরে অনঙ্গ ঘরে ঢুকিয়া দেখিল, স্বানী ছেলেদের লইয়া গল্প করিতেছেন। অনঙ্গ বলিল-চা খাবে নাকি ? এখনও রান্নার দেরি आióछ किन्नु । গদাধর ব্যস্ত হইয়া বলিলেন-আমার দেরি করলে চলবে না। চা বরং একটু করে দাও-আর আমি এসেছিলাম যে জন্যে অনঙ্গ বলিল-সে আমি শুনেচি । সে হবে না । S $