পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अन्छडि একটা কুলুঙ্গিতে অনঙ্গর শাশুড়ী লক্ষনীর বাটা রাখিতেন, শাশুড়ীর নিজের হাতের সিঁদুরের কোঁটার পুতুল এখনও কুলুঙ্গির ভিতরে আঁকা। যে খাটে অনঙ্গ নববধূরূপে ফুলশয্যার রাত্রি যাপন করিয়াছিল, পশ্চিমের ঘরে সে প্ৰকাণ্ড সেকেলে কঁঠাল কাঠের তক্তাপোষাখানা। উইয়ে-খাওয়া অবস্থায় এখনও বৰ্ত্তমান । বাড়ী আসিয়া নামিবার কিছু পরে, পাশের বাড়ীর বড়-তরফের কত্রী-ঠাকরুণ এ-বাড়ী দেখিতে আসিলেন। অনঙ্গ তাহার পায়ের ধূলা লইয়া প্ৰণাম করিয়া বলিল-ভালো আছে। দিদি ? বটুঠাকুর ভালো, ছেলেপিলে সব• • • -হ্যা, তা সব এক-রকম-কিন্তু বডড রোগ হয়ে গেছিস ছোটবোঁ । আহা, শচীনের (ইনি শচীনের মা ) কাছে সব শুনলাম। তা ঠাকুরপো যে কলকাতায় গিয়ে এ-রকম ক’রে উচ্ছন্নে যাবে, তা কে জানতো । শুনলাম নাকি এক মাগী নাচওয়ালী না কি ওই বলে আজকাল-তাকে নিয়ে কি ঢলাঢ়লি, কি কাণ্ড ! একেবারে পথে বসিয়ে দিলে তোদের ছোটবোঁ, কিছু নেই, বাড়ীখানা পৰ্য্যন্ত दिद्धि श6 6ळ6° ! उठश्रु-श• •· অনঙ্গর চিত্ত জ্বলিয়া গেল বড়বৌয়ের কথার ধরণে। সহানুভূতি দেখাইবার ছুতায় আসিয়া এ যে একপ্রকার গায়ের ঝাল ঝাড়া আর কি ! বড়-তরফ যখন যে গরীব সেই গরীবই থাকিল, ছোটতরফের তখন অত বড় বাড়িয়া কলিকাতায় বাড়ী কেনা, আড়ত ও ছবি তুলিবার কোম্পানী খোলা—এসব কেন ? কথায় বলে, “অত বাড়া বেড়োনাক ঝড়ে ভেঙে যাবে’-এখন কেমন ? ծ ՆՑ