পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

წraრთifā ” শতস্মৃতিভরা বাড়ীতে থাকিতে তাহার বুকভাঙা দীর্ঘনিশ্বাস পড়ে। প্রতিদিন কলিকাতা হইতে আনা সেই পালঙ্কে শুইবার সময় । , রাত্ৰি নিৰ্জন-বাড়ীটা ফাকা-কেহ কোথাও নাই আজ। দিনের বেলায় তবু কাজ লইয়া ভুলিয়া থাকা যায়, রাতের নির্জনত যখন বুকে চাপিয়া বসে-তাহার বুক হু হু করে, শক্ৰ হাসাইবার ভয়ে যে কান্নার বেগ দিনমানে চাপিয়া রাখিতে হয়--রাতে তাহা আর तशी भव्ष ब्षी । হাতে বিশেষ পয়সা আর নাই-ভড়মশায়ের সাহায্যে সে ছোটখাটাে খুচরা ব্যবসা চালাইতে লাগিল। মূলধন নাই, হাটবারে রাস্তার ধারে পাটের ফোঁট কিনিয়া কোনোদিন একমণ, কোনোদিন-বা কিছু বেশী মাল কৃষ্ণ দায়ের আড়তে বিক্রি করিয়া নগদ আট আনা কি বারো আনা লাভ হইত, হাত-খরচাটা একরূপ চলিয়া যায় তাহা হইতে । মূলধনের অভাবে বেশি পরিমাণে খরিদ-বিক্রি করা চলিল না, দুর্দিনের বন্ধু ভড়ামশায় অনেক চেষ্টা করিয়াও কোথাও বেশী পুজি জুটাইতে পারিলেন না। একদিন নিৰ্ম্মল দেখা করিতে আসিল । অনঙ্গ সন্তুষ্ট ছিল না নিৰ্ম্মলের উপর-তবুও জিজ্ঞাসা করিলওঁর খবর জানো ঠাকুরপো ? -কলকাতাতেই আছে। শচীনের কাছে শুনেচি । --তুমি ঠিকানা জানো ঠাকুরপো ? বাড়ীতে একবার আসতে বলে। Y so