পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ജ് --তাহলে কি হবে ঠাকুরপো ? --কি হবে, কিছুই বুঝতে পারাচিনে। আর কিছুদিন না গেলে• • • নিৰ্ম্মল চলিয়া গেল। অনঙ্গ বসিয়া-বসিয়া কত কি ভাবিল । সেদিন আর তাহার মুখে ভাত উঠিল না। ভড়ামশায়কে ডাকাইয়া পরামর্শ করিতে বসিল। ভড়ামশায় পাকা বিষয়ী লোক, সব শুনিয়া বলিলেন-এর তো কোনো কুলকিনেরা পাচ্চিনে বৌ-ঠাকরুণ ! অনঙ্গ চিন্তিতমুখে বলিল-আপনার হাতে এখন কত টাকা আছে ? অনঙ্গর মুখের দিকে চাহিয়া ভড়মহাশয় হাসিয়া বলিলেনআন্দাজ শ'দুই-আড়াই। কি করতে চান বৌ-ঠাকরুণ ? ওতে বাবুর দেন শোধ যাবে না । --আপনি একবার কলকাতা যান ভড়ামশায়, নিৰ্ম্মল-ঠাকুরপো বলছিল, ভঁার নাকি দেনার দায়ে জেল হবে, একবার আপনি নিজের চোখে দেখে আসুন ভড়ামশায়-আমি স্থির থাকতে পারাচিনে যে একেবারে, এ-কথা শুনে কি আমার মুখে ভাতের দল ওঠে ? আপনি আজ কি কাল সকালেই যান একবার। -আজি হবে না বৌ-ঠাকরুণ, আজ হাটবার । টাকা-পঞ্চাশেক হাতে আছে, ও টাকাটায় ও বেলা পাট কিনতে হবে। যা হয় দুপিয়সা তো। ওই থেকেই আসচে । পরদিন সকালে অনঙ্গ একপ্রকার জোর করিয়া ভড়ামশায়কে কলিকাতায় পাঠাইয়া দিল । সঙ্গে দিল একখানা লম্বা চিঠি আয় مg& (؟