পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিশপাতি -আজ্ঞে, পঞ্চাশ টাকা । গদাধর হাসিয়া বলিলেন-ওতে কি হবে ভড়ামশায় ? আমায় হাজার-তিনেক টাকা কোনোরকমে তুলে দিতে পারেন এখন ? তাহ’লে কাজের খানিকটা অন্তত মীমাংসা হয়। --না বাবু, সে সম্ভব হবে না ! ফেটি পাট কিনি ফি হাটে ষাটসত্তর-বড় জোর একশো টাকার। তাই গণেশ কুণ্ডুর আড়তে বিক্রি ক’রে কোনো হাটে পাঁচ, কোনো হাটে চার-এই লাভ । এতেই বৌ-ঠাকরুণকে সংসার চালাতে হচ্চে। তারই পুজি-তিনি যে এই পঞ্চাশ টাকা দিয়েচেন-তাঁর সেই পুজি ভেঙে। আমায় বললেন, বাবুৱা কষ্ট হচ্চে ভড়ামশায়, আপনি গিয়ে টাকাটা দিয়ে আসুন। অমনি লক্ষনী মেয়ে, • গদাধর অসহিষ্ণু ভাবে বলিলেন— আচ্ছা, থাক। আপনি ও টাকাটা দিয়েই যান আমায়। অন্তত যে ক'দিন জেলের বাইরে থাকি, মেসা খরচটা চলে যাবে। জেলের কথা শুনিয়া ভড়ামশায় রীতিমত ভয় পাইয়া গেলেন। মনিব জেলে যাইবার পথে উঠিয়াছেন—সে কেমন কথা ? এ-কথা শুনিলে বৌ-ঠাকরুণ কি স্থির থাকিতে পরিবেন ? এই মেসেই ছুটিয়া আসিবেন দেখা করিতে হয়তো । সুতরাং এ-কথা সেখানে গিয়া উত্থাপন না করাই ভালো । তিন হাজার টাকার যোগাড় করিতে না পারিলে যদি জেলে যাওয়ার মীমাংসা না হয়, তবে চুপ করিয়া থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ, কারণ, সে টাকা কোনোরকমেই এখন সংগ্ৰহ করা যাইতে পারে না । Y