পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tarifs ভড়ামশায় ছুটিয়া গিয়া গিরীশ ডাক্তারকে ডাকিয়া আনাইলেন। ডাক্তার দেখিয়া বলিলেন-কোনো চিন্তা নাই, সাধারণ ম্যালেরিয়া জ্বর, তবে একটু সাবধানে রাখা দরকার। ভড়মশায়ের নিজের স্ত্রী বহুদিন পরলোকগীত-এক বিধবা ভাইঝি থাকে বাড়ীতে, তাহাকে আনাইয়া সেবা-শুশ্রীক্ষার ব্যবস্থা করিলেন-প্ৰতিবেশীরা বিশেষ 6 कश् ठंकि भांद्रिव मा । চৌদ-পনেরো দিন পরে অনঙ্গ সারিয়া উঠিয়া জীৰ্ণ মুখে পথ্য করিল। কিন্তু তখনও সে অত্যন্ত দুর্বল-উঠিয়া দাড়াইবার ক্ষমতা নাই। ভড়ামশায় এতদিন জিজ্ঞাসা করিবার অবকাশ পান নাই, আজি জিজ্ঞাসা করিলেন-বৌ-ঠাকরুণ, টাকা কোথায় ? -টােকা সিন্দুকে আছে। -চাবিটা দাও, দেখি । এদিক-ওদিক খুজিয়া চাবি পাওয়া গেল না। বালিশের তলায় তো থাকিত, কোথায় আর যাইবে, এখানে কোথাও আছে। সব জায়গা তন্ন তন্ন করিয়া খোজা হইল, ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হইল, অবশেষে কামার ডাকাইয়া তালা ভাঙ্গিয়া দেখা গেল, সিন্দুকে কিছুই নাই। টাকা তো নাই-ই,উপরন্তু অনঙ্গর হাতের দু’গাছা সোনা-বঁধানো হাতীর দাঁতের চুড়ি ছিল, তাহাও উবিয়া গিয়াছে। আর গিয়াছে গদাধরের পিতামহের আমলের সোনার তৈরী ক্ষুদ্র একটী শীতলা-মূৰ্ত্তি। ক্ষুদ্র হইলেও প্রায় ছ’সাত ভরি ওজনের সোনা ছিল মূৰ্ত্তিটাতে। বহুকষ্টে অৰ্জিত অর্থের সঙ্গে শীতলা-মুৰ্ত্তির অন্তৰ্ধানে, নানা অমঙ্গল-আশঙ্কায় অনঙ্গ মাথা ঠুকিতে লাগিল। Sዓbም