পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলৰপতি ভড়ামশায়, আমার যা গিয়েচে, গিয়েচে-আপনি আর কাউকে বলবেন। না চুরির কথা। শত্ৰু হাসবে, সে বড় খারাপ হবে। উনি শত্রু হাসাবার ভয়ে আজিপৰ্য্যন্ত গায়ে ফিরলেন না-আর আমি সামান্য টাকার জন্যে শত্ৰু হাসাবো ? তিনি এত ক্ষতি সহ্য করতে পারলেন। -আর আমি এইটুকু পারবো না, ভড়ামশায় ? সুতরাং ব্যাপার মিটিয়া গেল। ভড়ামশায় কলিকাতায় মেসের ঠিকানায় দু’তিনখানা চিঠি দিয়া কোনো উত্তর পাইলেন না। অবশেষে সব কথা খুলিয়া লিখিয়া একখানি রেজিষ্টী চিঠি দিলেন-চিঠি ফেরত আসিল, তাহার উপর কৈফিয়ৎ লেখা “মালিক এ ঠিকানায় নাই’ । অনঙ্গের হাতে দু’গাছা সোনা-বাঁধানো শাখা ছিল। খুলিয়া তাহাই সে বিক্রয় করিতে দিল। সেই যৎসামান্য পুজিতে হলুদের গুড়ার ব্যবসা করিয়া কোনো হাটে বারো আনা, কোনো হাটে-বা কিছু বেশি আসিতে লাগিল। অকূল সমুদ্রে সামান্য একটা ভেলা হয়তো-কিন্তু জাহাজ যেখানে মিলিতেছে না, সেখানে ভেলার মূল্যই কি কিছু কম ? অনঙ্গ এখনও পায়ে বল পায় নাই । কোনোক্রমে রান্নাঘরে বসিয়া দুটি রান্না করে, ছেলে দুটিকে খাওয়াইয়া, নিজে খাইয়া রোয়াকের একপ্রান্তে মাদুর পাতিয়া রৌদ্রে শুইয়া থাকে, কোনোদিনবা একটু ঘুমায়। দুবেলা রান্না হয় না, হাঁড়িতে ওবেলার জন্য ভাততরকারি থাকে, সন্ধ্যার পরে ছেলে-মেয়েরা খায়। একটু চুপ করিয়া শুইয়া দেখে, ধীরে ধীরে উঠানের আতাগাছটা লম্বা ছায়া ফেলিতেছে দোরের কাছে, পাচিলের গায়ে আমরুল শাকের Hþ“e