পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দলপতি। ভড়ামশায় চিন্তিতমুখে বলেন-তা-তা-গেলেও হয়। --তাই কেন যান না। আজই। একবার দেখে আসুন। আজ কত-দিন হলো, কোনো খবর পাইনি-শরীর-গতিক কেমন আছে, কি-রকম কি কারচেন, আপনি নিজের চোখে দেখে এলে• • • ভড়ামশায় কথাটা ভাবিয়া দেখিলেন। যাইতে অবশ্য এমন কি আপত্তি, তা নয়। তবে পয়সা খরচের ব্যাপার। এই নিতান্ত টানাটানির সংসারে এমনি পাচটা টাকা ব্যয় হইয়া যাইবে যাতায়াতে । বৌ-ঠাকরুণ সে টাকা এখন পাইবেনই-বা কোথায়? মুখে বলিলেন-আচ্ছা, দেখি। --তাহ’লে কোন গাড়ীতে যাবেন আপনি ? -আজি কাল তো হয় না। হাটবার আসচে সামনে । -হাটবার লেগেই থাকবে। আমি এক-রকম ক’ৱে চালিয়ে নেবো-এখন, আপনি যান-আমার কাছে তিনটে টাকা আছে, তুলে রেখে দিইচি, তাই নিয়ে যান । সপ্তাহের শেষে অনঙ্গ আবার জ্বরে পড়িল । তবে এবার জ্বরটা খুব বেশি নয়, সাধারণ ম্যালেরিয়া জ্বর, এসময় পাড়াগায়ের ঘরেঘরেই এমন জ্বর লাগিয়া আছে, তাহাতে ডাক্তারও আসে না, বিশেষ কোনো ঔষধও পড়ে না! তবুও ভড়ামশায় ডাক্তার ডাকানোর প্রস্তাব করিয়াছিলেন, অনঙ্গ কথাটা উড়াইয়া দিয়া বলিল-হঁ্যা, আবার ডাক্তার কি হবে ? বরং ডাকঘরের কুইনিন এক প্যাকেট কিনে দিন, তাই খেয়েই যাবে-এখন-ভারি তো জ্বর ! সে জ্বর তিন-চারদিন ভুগিয়া তখনকার মত গেল বটে, কিন্তু দুদিন እኳ”©