পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দলপতি মা-কালীকে স্মরণ করিয়া গেটের মধ্যে সবে পা দিয়াছেন, এমন সময় পিছন হইতে কোমৱে আঁকশি দিয়া কে যেন টানিয়া ধরিল ! ঘাড় ফিরাইয়া দেখিলেন, ইয়া গালাপাট্টাওয়ালা পশ্চিমা-পহলবানের মত এক দীর্ঘবপুন্দরওয়ানজী হাঁকিয়া বলিতেছে-কঁহা যাতা ? ভড়ামশায় বলিলেন-যাহা আমার বাবু আছেন। দরওয়ানজী হাকিল-গেট-পাশ হয় ? -ই হয়। আমার বাবুর কাছ থেকে এখুনি নিয়ে আসত। হ্যায়, এনে তোমায় দিয়ে দেবো । -পহেলা ল্যাও, লে-আয়কে অন্দরমে ঘুসো। --বেশ, এখুনি এনে দিচ্ছি, তোমারা কোনো চিন্তা নেই হ্যায়। কথাটা বলিয়া ভড়ামশায় অগ্রসর হইবার উপক্ৰম করিতেই আবার পশ্চাৎ দিক হইতে শব্দের আকর্ষণ • • •কেঁউ, বাত মানেগা নেহি ? মত ষাও-লৌটকে আও• • অগত্যা ভড়ামশায়কে ফিরিতে হইল। এই বয়সে শেষে কি একজন খোট্টার কাছে অপমানিত হইবেন ? ওই দেখা যায় একটা সুপারি গাছ- তার পাশেই মস্ত বড় পুকুর! পুকুরের ওপারে টিনের ছাদ-আঁটা মস্ত একটা গুদামের মতো। সেখানে কত লোক চলিতেছে-ফিরিতেছে- ‘সকলেই যেন খুব ব্যস্ত! ভড়ামশায় ভিতরে ঢুকিতে না পাইয়া নিজের নিরুপায় অবস্থার কথা ভাবিতে ভাবিতে নিশ্চিত বুঝিলেন যে, ঐখানেই ছবি তোলার কাজ হইতেছে। তারপর দ্বারবানের নিকটে আসিয়া সে কি আকুতি! দ্বারবান ভিতরে যাইতে দিবে না ; ভড়ামশায়কেও যাইতেই হইবে । মিনতি যখন >令拿