পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

M অনঙ্গ হাসিতে লাগিল। তাহার বয়স এই সাতাশ-আটাশপ্রথম যৌবনের রূপ-লাবণ্য কবে ঝরিয়া গেলেও অনঙ্গ এখনও রূপসী। এখনও তাহার দিকে চাহিয়া দেখিতে ইচ্ছা করে। রং যে খুব ফর্শ তা নয়, উজ্জ্বল শ্যাম বলিলেই ভালো হয়, কিন্তু অনঙ্গর মুখের গড়নের মধ্যে এমন একটা আলগা চটক আছে, চোখ এমন টানা-টানা, ভুরু দুটি এমন সরু ও কালো, ঠোঁট এমন পাতলা, বাহু দুটির গড়ন এমন নিটােল, মাথার চুলের রাশ এমন ঘন ও ঠাসবুর্নানো, হাসি এমন মিষ্ট যে, মনে হয়, সাজিয়া-গুজিয়া মুখে স্নো-পাউডার মাখিয়া বেড়াইলে এখনও অনঙ্গ অনেকের মুণ্ড ঘুরাইয়া দিতে পারে! নারীর আদিম শক্তি ইহার মধ্যে যেন এখনও নির্বাপিত আগ্নেয়গিরির গর্ভের সুপ্ত-অগ্নির মতই বিরাজমান । গদাধর বলিলেন-সাধু আজ আমার হাত দেখে কি বলেচে জানো ? ? p?tiچfس۔ -আমার নাকি শীগগির খুব খারাপ সময় হবে। অনঙ্গ শিহরিয়া উঠিয়া বলিল-ওমা, সে কি গো ! গদাধর হাসিয়া বলিলেন-তাই তো বললে ! -আচ্ছা, তোমার সব-তাতে হাসি আমার ভালো লাগে না! তুমি যেমন কিছু জানো না, বোঝে না-সবাই তো তোমার মত নয়! কি-কি বললে সাধুবাবা শুনি ? -ওই তো বললাম । --সত্যি, এই কথা বলেচে ? SSe