পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wsRS অনঙ্গ কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া অপেক্ষাকৃত গম্ভীর ও বিমর্ষ ভাবে বলিল-দাদার কাছে । গদাধর আর কোনো কথা কহিলেন না। শুধু বলিলেন-আচ্ছা, গদিতে গিয়ে পাঠিয়ে দেবো-এখন । র্তাহার এই বড় শালাটি মানুষ নয়, টাকা উড়াইতে ওস্তাদ। বাপের অতবড় বিষয়টা নষ্ট করিয়া ফেলিল এই করিয়া। ছোট বোনের কাছে মাঝে-মাঝে হয়তো অভাব জানায়-স্নেহময়ী অনঙ্গ মাঝে-মাঝে কিছু দেয় দাদাকে-ইহা লইয়া গদাধর বেশি ঘাটাঘাটি করিতে চান না । কিন্তু একদিন এমন একটি ব্যাপার ঘটিল, যাহা গদাধর কখনো কল্পনা করেন নাই! বৈকালের দিকে ঘুম হইতে উঠিয়া তিনি গদির দিকে যাইতেছেন, এমন সময়ে একখানি গরুর গাড়ী তাহার বাড়ীর দিকে যাইতে দেখিয়া, পিছন ফিরিয়া সেখানার দিকে চাহিয়া রহিলেন। গাড়ী তাহার বাড়ীর সামনে থামিল। দূর হইতে তিনি বেশ দেখিতে পাইলেন—একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রীলোক গাড়ী হইতে নামিল। পুরুষটিকে তাহার বড় শালা বলিয়া বোধ হইল-কিন্তু স্ত্রীলোকটি কে ? বড় শালা তো বিপত্নীক আজ বছর-দুই• • •ও-বয়সের অন্য কোনো মেয়েও তো শ্বশুরবাড়ীতে নাই । গদাধর একবার ভাবিলেন, বাড়ীতে গিয়া দেখিবেন নাকি ? পরীক্ষণেই মুখ ফিরাইয় গদির দিকে চলিলেন। দরকার নাই ওসব হাঙ্গামার মধ্যে এখন যাওয়ার। গদিতে গিয়াই লোক দিয়া পঞ্চাশটি টাকা স্ত্রীর নিকট পঠাইয়া দিলেন। গদির কাজ শেষ হইতে একটু রাত হইয়া গেল । SS