পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

སོfརྒྱ་ গেলেন-সঙ্গে রহিল নিৰ্ম্মল। নৌকাপথে দুই ঘণ্টার মধ্যে র্তাহারা কুঠীবাড়ীর ঘাটে গিয়া পৌছিলেন। সে-কালের আমলের বড় নীলকুঠ-ঘাট হইতে উঠিয়া দু’ধারে ঝাউ গাছের সারি, মস্ত বাধানো চাতাল-বা-ধারে সারি-সারি আস্তাবল ও চাকর-বাকিরদের ঘর। খুব বড়-বড় দরজা জানলা। ঘর-দোরের অন্ত নাই। ঘোড়দৌড়ের মাঠের মত সুবিস্তীর্ণ ছাদে উঠিলে অনেকদূর পর্য্যন্ত নদী, মাঠ, গ্রাম সব নজরে পড়ে। দেখিয়া-শুনিয়া গদাধর বলিলেন-জায়গা খুব চমৎকার বইকি। --দেখলে তো ? -সে-বিষয়ে কোনো ভুল নেই যে, পাঁচ হাজারের পক্ষে বাড়ী খুব সস্তা। -এর দরজা-জানলা যা আছে, তারই দাম আজকালিকার বাজারে দেড় হাজার টাকার ওপর-তা ছাড়া কড়ি বরগা, লোহার থাম, এসব ধ’রে • • • —সবই বুঝলুম, কিন্তু এখানে কোনো গ্রাম নেই নিকটে, হাট নেই, বাজার নেই-এখানে বাস করবে কে ? এত ঘর-দোর যে, গোলকধাঁধার মত ঢুকলে সহজে বেরুনো যায় না-এখানে কি আমাদের মত ছোট গোরস্ত বাস করতে পারে ? দাসদাসী চাই, দরোয়ান-সহিস চাই, চারিদিকে জমজমাট চাই, তবে এখানে বাস করা চলে। নীলকুঠার সাহেবদের চলেছে—তা ব’লে কি আমার চলে, না, তোমার চলে ? নিৰ্ম্মল যেন কিঞ্চিৎ ক্ষুন্ন হইয়া বলিল-তাহ’লে নেবে না ? R