পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি দক্ষিণ-পাড়ার নীচে ‘কুসুম বামনীর দ’ নামে একটি প্ৰকাণ্ড পুরাতন জলাশয়ের ভাগ-বাটোয়ারা লইয়া উভয়-ঘরের মধ্যে আজ প্রায় দশ বৎসর পূর্বে প্রথম ঝগড়ার সূত্রপাত হয়। বড়-তরফের সত্যনারায়ণ বসু একদিন সকালে লোকজন লইয়া সেখানে মাছ ধয়িতে গিয়া দেখিলেন, ছোট-তরফের গদাধর বসু অপর পাড়ে তাহার পূর্বেই আসিয়া, জেলে নামাইয়া মাছ ধরিতেছেন। সত্যনারায়ণ বসু কৈফিয়ৎ চাহিলেন--তিনি-বৰ্ত্তমানে তঁহাকে জিজ্ঞাসা না করিয়া গদাধরের এমন আচরণের হেতু কি ? গদাধর তদুত্তরে যাহা বলিলেন, সত্যনারায়ণ বসুর পক্ষে তাহা সম্মানজনক নয়। কথার মধ্যে একটা শ্লেষ ছিল, সত্যনারায়ণ বসুর বড় ছেলে কলিকাতায় লেখাপড়া করিতে যাইয়া বকিয়া গিয়াছিল-তাহার সখের দেনা মিটাইতে সত্যনারায়ণকে সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রয়-কোবালা করিয়া, চুয়াডাঙ্গায় কুণ্ডুদের গদি হইতে প্ৰায় হাজার-দুই টাকা সংগ্ৰহ করিতে হয়। বসু-বংশের এই সৌখীন ছেলেটির কথা ঘুরাইয়া গদাধর এমনভাবে বলিলেন, যাহাতে সত্যনারায়ণের মনে বড় বাজিল। দুজনের মধ্যে সেই হইতে মনোমালিস্যের সূত্রপাত-তারপর উভয়-তরফে ছোট-বড় মামলা-মোকদমা, এমন কি, ছোটখাটো দাঙ্গা পৰ্য্যন্ত হইয়া গিয়াছে। মুখ দেখাদেখি অনেকদিন হইতে বন্ধ। গদাধর বসুর বয়স বত্ৰিশ-তেত্ৰিশ । ম্যালেরিয়াগ্রস্ত চেহারা, রং শ্যামবৰ্ণ, তবে বসু-বংশের দৈহিক ধারা অনুযায়ী বেশ দীর্ঘাকৃতি। ম্যালেরিয়ায় বছরের মধ্যে ছ’মাস ভুগিলেও গদাধরের R