পাতা:দম্পতি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি আসিল। গদাধর সমস্ত দেহে এক অপূৰ্ব আনন্দের শিহরণ অনুভব করিলেন। নেশার মত সেটা তঁহাকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখিল সারা পথ ! গদাধরের পক্ষে এ অনুভূতি এত নূতন যে, তিনি নিজের এই পরিবর্তনে কেমন ভীত হইয়া পড়িলেন ! স্বামীকে সিঁড়িতে উঠিতে দেখিয়া অনঙ্গ বলিল-বাপারে। এত দেরি করবে তা তো ব’লে গেলে ন-আমি বসে-ব’সে ভাবচি। --ভাবার কি দরকার আছে ? ছেলেমানুষ তো নাই যে, পথ হারিয়ে যাবো । হঠাৎ সেই অপূর্ব অনুভূতি যেন ধাক্কা খাইয়া চুরমার হইয়া গেল। সাধারণ মানুষের মতই দৈনন্দিন একঘেয়েমি ও বৈচিত্র্যহীনতার মধ্যে গদাধর খাইতে বসিলেন । পরদিন সকালে আটটার পরে গদাধর শোভারাণীর বাড়ী গিয়া কড়া নাড়িলেন। ছোকরা চাকরীটি দরজা খুলিয়া তঁহাকে দেখিয়া চিনিতে পারিল এবং উপরে লইয়া গিয়া বারানদায় বেতের চেয়ারে বসাইয়া বলিল-মাইজি নাইবার ঘরে-আপনি বসুন। একটু পরে ভিজে এলো-চুলের রাশি পিঠে ফেলিয়া সদ্যস্নাত শোভা সিমলের সাদা শাড়ী পরিয়া ঘরে ঢুকিয়া বলিল—এই যে, এসেচেন! নমস্কার!! খুব সকালেই এসে পড়েচোন। বসুন, আমি আসচি। শোভা পাশের ঘরে ঢুকিয়া দুখানা মাসিকপত্র, একখানা লেটার প্যাড, ও একটা ফাউণ্টেন পেন লইয়া ঈজিচেয়ারটিতে আসিয়া বসিল >曰