পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া এবং এক লম্ফে প্রাঙ্গণে আসিয়া টাকাটি কুড়াইয়া লইয়া, সিক্ত বস্ত্ৰে জলদেবীর ন্যায় অগ্রসর হইয়া সম্প্রসারিত হন্তে টাকাটি বাবাজীর হস্তে দিয়া বলিল, “নে বাবা নে, তোর মেয়ে তোকে দিচ্ছে।” বাবাজী খঞ্জনীতে একটু ঝঙ্কার দিয়া মুচকি হাসিয়া হাসিয়া গান ধরিল :- SuB D DB BDS OtgL uBBDDgOD DBD DDD SS বাবাজী টাকা লইল না। কেবল তালে তালে নাচিতে নাচিতে গাহিতে গাহিতে চলিয়া গেল । সুকুমার নীচে নামিয়া আসিলেন এবং দরিয়ার হাত ধরিয়া বলিলেন “চল উপরে যাই। বড় শীত, এ শীতে বাসি চৌবাচ্ছার জলে স্নান কর কেমন করিয়া ?” দরিয়া নিঃশব্দে উপরে উঠিলেন পরন্তু তঁহার নূপুর ও মেখলা তাহার গতিকে মুখর করিয়া চলিল। দরিয়া । নিজ কক্ষে প্ৰবেশ করিয়া বেশ বদলাইয়া আসিলেন, ছিল নীল শাড়ি, বাহিরে আসিলেন একখানি পীতাম্বরী পরিয়া । ততক্ষণ সুকুমার চা তৈয়ার করিতে ব্যস্ত ছিলেন । দরিয়া আসিয়া একখানি কেদারায় বসিল এবং চায়ের পেয়ালা তুলিয়া লইয়া উপযুপরি দুই পেয়াল চা পান করিল। উভয়ের মধ্যে কোনও কথাটি নাই, প্ৰাতঃরাশ, শেষ হইলে সুকুমার নিরাশ ভাবে বলিলেন,-“আমিও বলি, দরিয়া এ কাঙ্গালের দিন কি এমনিই যাবে ? একবার চাও, আমার দিকে তাকাও, এ কাঙ্গালের দিন কি এমনিই যাবে ?” দরিয়া হাসিলেন, এবং বলিলেন,-“দিন ত এমনিই যায়, সুৰ্য্যের উদয় অস্ত হয়, দিনের পর রাত্রি, রাত্রির পর দিন হয়, আর সেই দিনরাত্রে কখনও বা আমাদের কঁাদিতে হয়, কখনও বা হাঁসিতে হয়। ইহা ছাড়া নূতন রকমে কখনও কাহারও দিন গিয়াছে কি ? দিন যেমন যাইবার তেমনই যাইবে।”