পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া করিয়া তুলিল। তখন হাবাসী আসিয়া তাহদের সম্মুখে বসিল। বিজয় হাবাসীর দিকে কিছুক্ষণ তাকাইয়া বলিল-সত্যই এতরূপ কোথা থেকে পেলে সাধের বীে ? হাবাসী। রূপ ত পেয়েছি বলছি। সাধের বীে বলে ত সোহাগ করা হচ্ছে, খোজ নিয়েছ কতটুকু ? বিজয়। গুরু আজ্ঞা তাই পারিনি, কিন্তু তোমায় ভুলি নি । হাবাসী। মিন্সে গুলো হাতে নাতে ধরা পড়ে ; তবু মিথ্যা কথা বলা ছাড়ে না । ভোলনি ত বলছি ঠাকুর । দরিয়ার কুকুরের সঙ্গে গায়ে গায় ঘুরে বেড়িয়েছিলে কেন ? দরিয়ার জন্য অত মেতে উঠেছিলে কেন ? শেষে অমান করে গলার হার কল্লেই বা কোন লজ্জায়। আমার তাতে কোনও আপত্তি নেই, আমার রাগও নেই ক্ষোভও নেই, আমি জানি সব। অমন করে গুরুর মনে কি বেদন দিতে আছে ? বিজয়। তুমি যদি সুকুমারীর মত ছেলের মা হইতে পারিতে তাহা হইলে মনে হয় এতটা হইত না । হাবাসী। কথায় আছে পাষণ্ডের ছলের অভাব হয় না। আমি মেয়েমানুষ হয়ে গুরু আজ্ঞা ষোল আনা পালন কৰ্ত্তে পেরেছি। আর তুমি श्रेक्ष न ? বিজয় । তুমি আছ কোথায় আর আমি ছিলাম কোথায় । অলকানন্দার তীরে থাকিলে সত্যই কয়লার টুকরা হীরে হয়! আর আমি ছিলাম এলাহাবাদে ও বাঙ্গলায়, স্থানের প্রভাব নাই কি ? দরিয়া । সত্যই বলছি দিদি আমি তোমায় দেখে কেমন হয়ে গেছি। এই জন্যই বাবাজী বলেছিলেন আগে আমার মাকে দেখে আয় । S \OS