পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া একটা বড় আস্তান বলিয়া পরিচিত ছিল, এবং নানা দিগদেশ হইতে বৈষ্ণৰ বৈষ্ণবীর দল স্বরূপদাসের আখড়ায় আসিয়া বড় বড় পর্বোপলক্ষে ख्t९ छ्शेड । স্বরূপদাস, কিন্তু এ কথাটা সহজেও কাছাকেও জানিতে দিতেন না, নিতান্ত অন্তরঙ্গ ব্যক্তি ব্যতীত এ তত্ত্ব জানিত না, তবে প্ৰকাশ্যে তঁহার আখড়ায় সুন্দর রূপেই পূজা আরতি হইত এবং কৃষ্ণ কীৰ্ত্তন চলিত। প্ৰধানতঃ মধুকনের “ঢবের” প্ৰচলন অধিক ছিল। বেল দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইয়াছে এমন সময় স্বরূপদাস নিজের কুটির হইতে বাহির হইয়া আসিয়া একটি যুবক রোগীকে লক্ষ করিয়া বলিলেন, দেখা ত রূপ ভগবানের নৌকা ঘাটে লাগিল। কিনা ! রূপ । আজত তাহারা সবাই এসেছেন । স্বরূপ। বেশ বেশ, তাহদের পাছদুয়ারে আডা দিস।। রূপচাঁদ বত্ৰিশ পাট দাত বাহির করিয়া বলিল, “আঙ্গে তাই দিষ্টচি । স্বরূপ বিনা বাক্যব্যয়ে নিজ কক্ষে পুনঃ প্ৰবেশ করিয়া লাঠিটি লাইলেন, খড়ম জোড়াটি পায় দিলেন, এবং একটা পদ্মবীজের মালা তাতে করিয়া রূপচাদকে ইঙ্গিত করিলেন আমার সঙ্গে এস। উভয়ে নীরবে চলিলেন, আখড়া পার হইয়া সেই বঁাশ বনের ভিতর কতকাদূর যাইয়া অতি নিভৃত ও প্রচ্ছন্ন স্থানে দুইটি কুটীরের সন্মুখে গিয়া দাড়াইলেন । স্থানটি অতি স্নিগ্ধ, অতি শীতল, নিত্যচ্ছায়া সমাবৃন্তু এবং বায়ুস্পর্শে মনে হইল নদীতটিও সন্নিকট কিন্তু বুঝিবার উপায় নাই যে নদী এত কাছে। সে দিকে বঁাশ বনের সারি একেবারেই দুৰ্ভেদ্য । “জয় রাধে গোবিন্দ ! এসেছ মা *ባርቫጅ বাবা WOS