o /ر| তঁহাদের পরে ইসলাম অন্য রকমে জগতটাকে মোসলেম বানাইয়া এক কবিতে চাহেন। পরকীয়া-তত্ত্ব এই চেষ্টার সাধন-পদ্ধতি। সহজ পণ্ডিতগণ বলেন যে, ও পথে জগতের বৈচিত্ৰ্য দূর হইবার নিহে ; ও পথে দেশ, কাল, পাত্রের প্রভাব এড়াইয়া উপরে উঠা যায় না । তাই তঁহারা পরকীয়া-সাধনার নানা ক্রম; প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন । “দরিয়ায়।” একটা ক্রমঃ আমি দেখাইবার চেষ্টা করিয়াছি। এ সাধনার অনেকগুলা ক্রম ভগবান রামকৃষ্ণ দেব তঁহার জীবনে ফুটাইয়া দেখাইয়া দিয়া গিয়াছেন। আধুনিক বাঙ্গালী তাহা দেখিয়া ঠিক মত বুঝিতে পারে নাই ।। ৩/কেশবচন্দ্ৰ “নববিধান” ধন্মের প্রবর্তন করিয়া গোড়ার প্রথম স্তরটা বাঙ্গালীকে বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। সে চেষ্টাও বার্থ হইয়াছে। সেই তত্ত্বটাকে রোচক ও অর্থবাদে মোড়ক করিয়া “দরিয়া” পুস্তকে আমি খোলসা করিবার চেষ্টা করিয়াছি। সে চেষ্টা সার্থক হইল কি না বলতে পারি না । আধুনিক ইংরেজী-নবীশ সমাজ ছাড়া বাঙ্গালায় এখনও একটা বৃহত্তর ভাবুকি সমাজ আছে। তাহদের কোন সমাচার আমরা রাখি না ; কেবল মন্দকুই দেখিতে পাই । সে সমাজে সহজ-মাত, কিশোরী-ভজন, পরকীয়াসাধন এখনও প্রচলিত আছে। সদগুরুর অভাবে এ সকল মত ও সাধনা অতি মাত্রায় ধিগড়াইয়াছে বটে, পরন্তু খোজ করিলে এখনও ভাল ভাবুক ও রসিক মানুষ পাওয়া যায় । শেষ কথা--সন্ন্যাসী সমাজের কথা । ভারতবর্ষের সন্ন্যাসী সমাজ একটা বিরাট, বিশাল, দুৰ্ব্বোধ্য ব্যাপার। যে একটু দেখিতে পাইয়াছে সে বিস্ময়ে অবাক হইয়া আছে। এই যে তোতাপুরীর সময় হইতে বাঙ্গলায় আবার ধীরে ধীরে সন্ন্যাসী প্রাধান্য বার্ডিয়া যাইতেছে,
পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।