পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wfall ঐ কথা বলিলাম। তখন রূপচাদ হাসিয়া গলিয়া যেন ভাঙ্গিয়া মোচড়াইয়া গিয়া বলিলেন—তা বেশ বেশ তাই হবে, তোলা। উনান আছে তাই আনিয়া দিই। এখানে ত বাজার হাট নেই। এই আকড়াতেই আটা, ঘী, ডাল পাওয়া যাইবে তাহাঁই আপনার নামমাত্র মূল্য দিয়া লইবেন তখন এক জন বলিল আমাদের রসদ আমরাই লইয়া আসিয়াছি, সে পক্ষে অন্য ব্যবস্থা छ्छ्रेश्वाछ । কথাটা শেষ হইতে না হইতে পুলিশের দারগ। যাদবচন্দ্ৰ বাকৃষ্টা তিনটা মুটে সঙ্গে করিয়া ঘাঁ, আটা, ডাল, আলু, তারকারী এবং প্রায় আধমান দুগ্ধ আনিয়া দিলেন। তাহ দেখিয়া রূপচাদ চমকাইয়া উঠিল। যাদব বাৰু মুচকি হাসিয়া বলিলেন পথে আসিবার সময় ইহারা আমাকে এই সকল সরবরাহ করিতে বলিয়া আসিয়াছিলেন এবং টাকা দিয়া আসিয়াছিলেন । আমার সহিত ইছারা পরিচিত নহেন, তবে জমিদার বাবু নাকি ইহাদের চেনেন। সোজা কথাটা শুনিয়া ও রূপচাঁদের মুখখানা যেন কাল হইয়া গেল, সে মনে মনে ভাবিল ভিতরে একটা কিছু আছে। ইহারা কেবল শিকারী বা জমিদার নাহে ; দেখা যাউক ব্যাপারটা কতদূর গড়ায়। নবাগতদিগের আদরে সে দিন আখড়ায় খুব ধুমধাম করিয়া আরতি হইল, ভোগ হইল, গ্রামের অনেকেই উপযাজক হইয়া আসিয়া প্ৰসাদ ৪ পাইলেন । নবাগতগণ আহারাদি করিয়া শয়ন করিলেন । সবাই পথশ্রমে ক্লান্ত, শয়ন মাত্ৰেই সকলেই ঘোর নিদ্রায় অভিভূত হইল । রূপচাদ তাড়াতাড়ি বাবাজীর কাছে যাইয়া যেন ভয় বিজড়িত কণ্ঠে বলিল,-বাবাজী যার চিড়িয়া পিঞ্জরে ধরিয়া রাখিয়াছেন, আমার মনে হয় ইহারা সেই চিড়িয়ার খোজ করিতে আসিয়াছে, ইহার কেহই হিন্দুস্থানী QR