পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই মণ্ডলীর সম্মুখে আসিলেন। গজেন্দ্ৰ সিং কোনও রকমে মাথা নোয়াইয়া হাত দুইটি তুলিয়া প্ৰণাম করিলেন এবং করজোড়ে বলিতে লাগিলেন, আমি মহাপাপী, আমার দিন শেষ হইয়াছে। ঐ হনুমানদাস না থাকিলে এ যাত্রা এ দেহ বিফলই যাইত, আমার যতটুকু সাধ্য ততটুকু প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়াছি আদেশ করুন। আর কি করিতে হইবে। গুরুজী (নবাগত)। সত্যের পথে থাকিয়া তুমি দারোগীবাবুর সাহায্য কর তাহা হইলেই আমাদের কাজ করা হইবে। গজেন্দ্ৰ । একটা সত্য কথা বলিব। আমি স্বার্থের তাড়নায়ও একাজ করিয়াছি। ইদানীং স্বরূপদাস আমার উপর একটু অত্যাচারের মাত্রা বাড়াইয়া তুলিয়াছিলেন। কেবল ভয় দেখাইয়া আমার নিকট হইতে টাকা আদায় করিয়া আনিত এবং চোরাই মাল রাখিবার জন্য আমাকে পরামর্শ দিত, মানভয়ে আমি কোনও কথা স্পষ্ট বলিতে পারিতাম না, বাজে ওজার করিয়া তাহার কথা কাটাইয়া দিতাম, আমি লম্পট ছিলাম বটে, কিন্তু চোর ডাকাত নাহি ভদ্র ঘরের ছেলে। এই হনুমানদাস বাবাজী আমার চোখ ফুটাইয়া দিয়াছেন এবং উহার পরামর্শ অনুসারে কাজ করিয়া আমি এক টীলে দুই পাখী মারিয়াছি। স্বরূপদাসের উচ্ছেদসাধন করিয়াছি, আমার সুনাম সুযশও বজায় রাখিয়াছি কিন্তু আর ভাল লাগে না । এ ছলনা। আর ভাল লাগে না । কাল রাত্রি থেকে আমার প্রাণ উদাসী হইয়া উঠিয়াছে। জমিদারীর কাজ ছেলেদের বুঝাইয়া দিয়াছি। এইবার অনুমতি कहब्रन ऊ अनि बैलूनांदन शाझे । গুরুজী। একেবারেই শ্ৰীবৃন্দাবন যেয়ে উঠতে পারবে না। এখানকার কাজ শেষ করিয়া নবদ্বীপে যাইয়া থাকিও । তাহারপর যখন দিন হইবে Ao