পাতা:দরিয়া - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দরিয়া মধ্যেই তঁাহারা সঙ্গমের ঠিক অপর পারে গিয়া দাড়াইলেন এই খানেই ভিন্ন প্ৰবাহা যমুনা আরম্ভ। দক্ষিণ পশ্চিমে যমুনার কাল জল স্পষ্ট রহিয়াছে আর উত্তর পূর্ব দিয়া তরঙ্গ ভঙ্গময়ী কুল-কুল, কল কল ছল ছল শব্দময়ী গঙ্গা সবেগে চলিয়াছে। গঙ্গার দিকে জল কম, এক হাঁটু এক কোমরের অধিক হইবে না, যমুনার দিকে অগাধ জল কিন্তু স্রোত বা শক্তির কোনও লক্ষ্মণষ্ট দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না। সন্ন্যাসীগণ একে একে সবাই গঙ্গার জলে নামিলেন, স্বামীজি দরিয়া ও সুকুমারীকে হাত ধরিয়া নামাইলেন, এবং প্রত্যেককে বলিয়া দিলেন, “যমুনার দিকে পা বাড়াই ও না, অগাধ জল এবং বড় ঠাণ্ডা জল। কেবল তাহাঁই নহে যমুনায় কচ্ছপ ও অনেক, কুম্ভীরও আছে। আমি সঙ্গমের জল কমণ্ডলু করিয়া তুলিয়া তোমাদের মাথায় ছিটা ষ্টীয়া দিব তাহাতেই সঙ্গমের মান হইবে তোমরা আর বেশী আগাই ও না। তাহার উপর আজ অনেক দেশের, অনেক রকমের লোক নৌকা করিয়া স্নান করিতে আসিয়াছে তাহদের সকলের মতিগতি কিছু ভাল নয় তোমরা একটা করিয়া ডুব দিয়া নৌকায় গিয়া উঠিয়া বস এবং সেইখানেষ্ট বসিয়া জপ করিও।” চারিদিক হইতে সহসা শঙ্খ ঘণ্টার শব্দ উঠিল হর হর মহাদেব ব্যোম ব্যোম, সঙ্গে সঙ্গে হরি ধ্বনী সংকীৰ্ত্তন যেন জল স্থলকে শব্দময় করিয়া ফুটিয়া উঠিল। সেই সময় পুর্ব দিকে একটু লাল আভা দেখা দিল ঠিক ব্ৰহ্মীলগ্ন উপস্থিত হইয়াছে বুঝিয়া মানের ধুম পড়িয়া গেল। প্ৰথমেই নাগা সন্ন্যাসীর দল, সিপাহি পরিবৃত্ত হইয়া আসিল, তাহারা এক একটা ডুব দিল এবং গায়ের জল না মুছিয়া উঠিয়া চলিয়া গেল। নগ্নকায় দীর্ঘ বপু, পুরুষ গামছা কাপড়ের সম্বন্ধ নাই, ডুব দেয় আর উঠে, সুতরাং তাহদের মান শীঘ্রই হইয়া গেল তাহার পর একে একে ס סג