পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা স্তব্ধ হয়ে গেছে ভেতরে, মরে গেছে। উঠে গিয়ে একেবারে । গোটা চারেক এ্যাসপিরিন গিলে হীরেন আবার ইজিচেয়ারে গা ঢেলে দেয়। বন্যতা, গুণ্ডামি চলবে না । সে সন্ত্রান্ত পরিবারের শিক্ষিত ভদ্রসন্তান। অ্যাসপিরিন খেয়ে হোক, শিরা কেটে রক্ত বার করে হোক, ভদ্র তাকে থাকতেই হবে। চোখের জলে ঝাপসা চোখ নিয়ে মমতা ঘরে আসে, ধপ করে বসে পড়ে একটা চেয়ারে । “আরিফ এসেছিল ।” of “একবার গেলে না। নীচে ? ওকে অ্যারেষ্ট করেছে।” “অ্যারেষ্ট করেছে ? ও !” সন্ধ্যার সময় প্ৰকাশ্য তল ঘরে নির্ভয় নিশ্চিন্তভাবে মমতার ওরকম আচরণের মানেটা হীরেন বুঝতে পারছিল। না । এতবড় বাড়ী, এতগুলি নিৰ্জন ঘর, আরিফকে কোন ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেই হত। এবার সে বুঝতে পারে, আত্মচারা হয়ে মমতা সতর্কত ভুলে গিয়েছিল। এখানকার প্রায় অসহনীয় মানসিক বিপৰ্য্যয়ের মধ্যেও এক সিনিক ফাজিল বন্ধুর বিশেষ প্রিয় একটি তামাসার কথা হীরেনের মনে পড়ে যায় ; সিফিলিস আর প্ৰেম গোপন থাকে না । একদিন হাসি পেত কথাটা শুনে। আজি শব্দগুলি যেন ভারি ধারালো শাবল হয়ে মনের মধ্যে দাপাদাপি করে বেড়ায়, খুড়ে ফেলতে থাকে ड5द्र मन्म | “এমন খারাপ হয়ে গেছে মনটা । কান্না পাচ্ছে সত্যি ।” হীরেন কথা বলে না । এবার সচেতন হয়ে ভাল করে তার দিকে তাকিয়ে মমতা জিজ্ঞেস করে, “কি হয়েছে তোমার ?”

  • भाथ श्रद्धएछ ।”

“অ্যাসপিরিন খাবে ?” o