পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণেন্দু তার চেয়ারটি আমিনার কাছে এগিয়ে দিয়ে এসে বলল,- ‘বসুন।” আমিনা অস্ফুটম্বরে কি বলল বোঝা গেল না। চেয়ারের পিঠে। একটি হাত রেখে সে দাড়িয়ে রইল । কৃষ্ণেন্দু অধ্যবসায়ী, সহজে হার মানে না। ‘বাড়ীর ভেতর চড়াও হয়ে আপনাকে বড়ই জ্বালাতন করলাম।” আমিনা একবার চোখ তুলে তাকাল। উপেনবাবু আর জলধর বাবুর মেয়েদের সঙ্গে আপনি খুব মেলামেশা করেন। শুনেছিলাম। ওঁরা আমায় বলেননি, আমার সামনে ওঁরা বার হন না। আমার বৌদির কাছে শুনেছি।” আমিনার মুখে ক্ষীণ একটু হাসি দেখা গেল। “আমাদের বাড়ীটা একটু দূরে। আপনি তো আর যাবেন না, বৌদিকে একদিন নিয়ে আসব।” আমিনা মৃদুস্বরে বলল, “আনবেন। আনবেন তো ?’ সংক্ষিপ্ত BJYB BDDD DK BBS SDD KES আমিনার কথার সুর আশ্চৰ্য্য রকম মিষ্টি । মিহি গলার মৃত্যু উচ্চারণে ক্ষীণ একটু ঝঙ্কারের আভাস মিশে থাকায় তার কথা পাখীর কুজনের মত অপূর্ব শোনায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্বিধা সঙ্কোচের ভাবতার অনেকটা কেটে গেল । লেখাপড়া সে বিশেষ জানে না, বাইরের জগতকে একরকম চেনে না । ওসমান নিজে তাকে কিছু কিছু পড়তে শিখিয়েছে, তারই মারফত বাইরের জগতের দুটি একটি খবর সে পায় । , অতিথি দু’জনকে সে আমি আর দোকানের খাবার খেতে দিল। বার, বার কৃষ্ণেন্দুকে মনে করিয়ে দিল বৌদিকে নিয়ে সে যেন একদিন বেড়াতে আসে। আধা ঘণ্টা একটি অপরিণত শৈশব-আশ্রয়ী মনের সংস্পর্শে কাটিয়ে হীরেন মুগ্ধ ও কৃষ্ণেন্দু বিমর্ষ হয়ে বিদায় নিল। Gr