পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খোয়ার স্তুপ, আধ পেশা রাস্তায় ছোট বড় তিনটে রোলার, বীকের ওদিকে হয়তো আরও আছে। নবীন সামন্তের আমবাগানের প্রান্তে তিনটি ছোট ছোট তাবু আর তালপাতার ছাউনি দেওয়া অস্থায়ী ঘর। একটি তাবুর সামনে ভুর করে রাখা দুর্যমুস, গাইতি, কোদাল প্ৰভৃতি যন্ত্রপাতি। পথের ওপাশে এক সারি গরুর গাড়ী, গাড়োয়ানেরা গরু খুলে প্ৰকাণ্ড এক শিমূল গাছের নীচে তাদের বেঁধে খড় ও জল দিচ্ছে, গলায় বাধা ঘণ্টার সমবেত টুংটাং শব্দ কানে আসছে অনেক মন্দিরে অনেক সন্ধ্যারিতির ইঙ্গিতের মত । একটা লরী এতক্ষণ দাড়িয়ে ছিল, এবার সশব্দে সমুখ দিয়ে ষ্টেশনের দিকে চলে গেল। আজের মত কাজ শেষ হয়েছে, কুলীরা অনেকে চলে গেছে, অনেকে এখনো যাচ্ছে। বঁাকের কাছে রাত্রির বিরামের ব্যবস্থায় কতকগুলি মানুষ ব্যস্তভাবে এদিক ওদিক চলাফেরা করছে। এখানে ওখানে জলছে ছাড়া ছাড়া কয়েকটা আগুন । এই মোড় আর ওই বঁাকের মাঝামাঝি এক অনির্দিষ্ট স্থানের দিকে হাত বাড়িয়ে কণ্ঠস্বরকে যথাসম্ভব শোচনীয় করে দিবাবু বলল, “ওই হোথা সামন্ত মশায় গুলি খেয়েছে।” গাড়ী থেমেছিল, আবার চলতে আরম্ভ করল। রম্ভ একটু কঁদল। গভীর উপভোগ্য বিষাদ ঘনিয়ে এসে রামপালের মন হয়ে গেল উদাস। চর্চা করে করে তার অল্পশিক্ষিত মনের কল্পনা আশ্চৰ্য্যরকম উর্বর হয়ে উঠেছে। সামান্য ও সংক্ষিপ্ত বিবরণকে আশ্রয় করে তার মানসচক্ষে DDD SLL BDB D D LLL S BD DB MgD BBB পরিবেশ, রম্ভার মনোবেদনার ছোয়াচ আর সেই সঙ্গে কল্পনায় আম জাম শাল পিয়ালের সবুজ দৃশ্যপটে দিনান্তের আবছা আলোয় মুখোমুখি দু’দল মানুষ। বীরেশ্বরের বাড়ীর দুয়ারে গাড়ী দাড়ানো পৰ্য্যন্ত রামপালের চোখের সামনে বীরেশ্বর কেবলি অতর্কিতে গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে ছটফট করতে লাগল। SS