পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষয়ই হোক। হেরন্থের একটি গুরু ছিলেন, একজন বিখ্যাত ভুতান্ত্রিক সাধু। এখন তিনি দেহরক্ষা করেছেন। তার অলৌকিক শক্তি ও ক্রিয়াকলাপের কাহিনী শুনতে শুনতে সকলে আরাম বোধ করে। অন্যমনে একথা সেকথা ভাবতে ভাবতে কৃষ্ণেন্দু খানিক শোনে খানিক Cat a মানাহারের তাগিদে একসময় বৈঠক খতম হয়ে যায়। বিদায় নেবার জন্য প্ৰস্তুত হয়ে সকলের মুখপাত্র হিসাবে জগৎ দাস বলে, “তবে ওই কথা রইল কেষ্টবাবু?” “কোন কথা ?” BBBDB DBDDDBDD DBBBSS gD BgDD DDBDS BDD S ttS দিকের অবস্থা দেখে বুঝে শুনে কেষ্টবাবু যাহোক একটা ব্যবস্থা করবেন।” এত বেলায় গায়ের পথঘাট নির্জন হয়ে এসেছে। গাছে গাছে শুধু হনুমানের লাফালাফি। এ অঞ্চলে খুব হনুমান দেখা যায়। কৃষ্ণেন্দু গম্ভীর বিমর্ষ হয়ে পথ চলছিল, বড় একটা নিমগাছের কাছে দাড়িয়ে খনিকক্ষণ সে একপাল হনুমানের লীলাখেলা চেয়ে দেখল। তিনটি হনুমতী উকুন বেছে বেছে পালের গোদার অঙ্গসেবা করছে, সে দুই হাঁটুতে হাত রেখে আরামে চোখ বুজে বসে আছে। হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই কি অপরাধে একটি সেবিকাকে সে সজোরে চড় বসিয়ে দিল । লাফিয়ে তফাতে সরে খানিকক্ষণ কিচির মিচির করে সেবিকাটি যেন অভিমান করেই গোদার দিকে পিছন করে বসল। এবং সন্তানকে বুকে নিয়ে অবিকল মানুষের ভঙ্গিতে স্তন দিতে লাগিল । হীরেন বলল, “আমার খিদে পেয়েছে ।” কৃষ্ণেন্দু চলতে আরম্ভ করে বলল, “লিভারের যা অবস্থা দাড়িয়েছে, খিদে তোর কখনো পায় না। মনটা খারাপ হয়ে গেল ভাই । RNS