পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোসাইটি বাজারের মেয়ে বানিয়ে দিলে কেষ্টদা ! মন্ত বড় লোকের : ছেলে বলে ওকে খোঁট, তুলছি। এটুকু বলতে ছাড়লে কেন ?” কৃষ্ণেন্দু হেসে ফেলল, “খেলাবার দরকার ফুরিয়ে যাবার পরেও।” ওকে খেলাচ্ছ বলে ।” মমতা চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, “আমার হৃদয়টা তো উড়িয়ে দিলে ? আমি শুধু হিসেব করি।” কৃষ্ণেন্দু হাসি মুখেই বলল, “তোমায় গাল দিই নি ভাই। হৃদয় উড়িয়ে দেওয়া দূরে থাক। বরং বলেছি তোমার জোরালো একটা হৃদয় আছে। কোন জমিতে বন্যা আসে জানো তো ? নীচু সেঁতসেঁতে “ জমিতে । প্রেমের বন্যা আসাটা হৃদয়ের পক্ষে মোটেই গৌরবের কথা নয় । সে বন্যায় ভেসে যাওয়া তে রীতিমত ছ্যাবলামি করা । হিসেব করবে না ? এত বড় একটা ব্যাপারে ? একেবারে খাতপত্র নিয়ে বসে হিসেব করবে। তাছাড়া এতো ফ্রি লাভের কথা নয়, বিয়ের ব্যাপার। তাও আবার হিন্দুমতে। আমি বলতে চাই, হিসেব হয়ে। গেছে, এবার ইতস্ততঃ না করে মন স্থির করে ফেল।” কৃষ্ণেন্দু ফিরবার জন্য পা বাড়াতে মমতা তার জামা ধরে আটকে রাখল। বলল, “তুমি কিছুই বোঝ নি। কেষ্টদা। ওসব হিসেব বহুদিন চুকে গেছে। আমার আসল সমস্যা ছিল ভিন্ন। আমার ভাবনা হল, LqB BODBD BB BBDB DDLDD KD DS BD DBBKS DDS আমাদের কাজে। আমি চাষী মজুরদের জন্য খাটিব। আর আমার স্বামী মিলের মালিক হয়ে তাদের রক্ত শুষিবেন, তাতে হয় না।” “তুমি কি চাও বাপের সম্পত্তি ত্যাগ করে এসে হীরেন আমাদের সঙ্গে কাজ করবে ?” “তা কেন ? আমরা কি মিল তুলে দিতে চাইছি ? ও আদর্শ কারখানা করবে, মজুরদের অধিকার স্বীকার করে নেবে, সংগঠন 8 \O