পাতা:দর্পণ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করেছিস ? সকবায়ের সামনে বল-কেষ্টবাবু, রেয়াৎ করেছে, আমি, তোকে খুন করব।” দুৰ্গা ফোস করে ওঠে, ‘না জেনে না শুনে তোমার অতি চোটপাট কিসের গো ? নিজে কত সাধু! খুন করবে। ভাইকে যে খুন করেছে তাকে খুন করবে যাওনা, বুঝি কেমন মরদ ?” একজন লাঠি ছিনিয়ে নেয়, দু’তিন জন সুরেশকে টেনে নিয়ে যায় দূরে। দুৰ্গা তখনও চেঁচাচ্ছেঃ ইবার আসুক তোমার কেষ্টবাবু, একবারটি পা দিক উঠোনে, গাল দিয়ে ভূত ছাড়িয়ে দোব। জজ ম্যাজিষ্টর ! মেয়্যা করবে। ছেনলি, সবটুকু দোষ চাপবে ছোলার ঘাড়ে। দারোগাবাবু! জজ ম্যাজিষ্টর • • • গজ গজ করতে করতে দ্যাওরকে ধরে তুলে দুৰ্গা তাকে ঘরে নিয়ে যায়। রম্ভ সকলকে শুনিয়ে বলে, “তা আমিও বলি, অত কথায় কাজ কি তোমাদের । যা শুনবার সব শুনবে আজ নয় তো কাল, চাপা তো রইবে না কিছু, চুপ মেরে যাওনা সবাই এখন ?” চুপ অবশ্য কেউ করে না, সেটা অসম্ভব। রামপাল আবার গান আরম্ভ করে, কিন্তু গান আর জমে না। রামপাল নিজে কিছুক্ষণের মধ্যে মাসগুল হয়ে যায় এবং তারি মত ভাববিলাসী কয়েকজন মেয়েপুরুষ মন দিয়ে তার গান শোনে, অন্য সকলে চাপা গলায় নিজেদের মধ্যে BBBB DS LBD LLDD LLDD qL ধ্বনিত হয়ে ওঠে। কৌতুহল চাপতে না পেরে মেয়েদের মধ্যে কেউ কেউ দুৰ্গার ঘরের দরজায় গিয়ে উকি দেয়, কেউ একেবারে ভেতরে গিয়ে বিছানায় বসে, আত্মীয়তা জমাবার চেষ্টা করে। কিন্তু দুৰ্গা তাদের আমল দেয় না। চুপি চুপি অন্তরঙ্গ জিজ্ঞাসার জবাবে বলে, কি হয়েছিল জেনে তোমার দরকার ? বলে, বাইরে গিয়ে গান শোন না, ছেলেটা खिब्रांक ? ክዎዓ