পাতা:দশকুমার.djvu/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৰ্ব্বপীঠিকা । 6t পথে যাইতেছেন, হঠাৎ কতগুলা শবরসৈন্য আসিয়া তাহাকে আক্রমণ করিল। তাহাতে সাতিশয় ভীত হইয়া কে কোথায় পলায়ন করিল, কিছুই জানিতে পারিলাম না । আমি এবং আমার কন্যা দুজনে রাজার দুটি যমজ সন্তানের ধাত্রী ছিলাম। দুটা সন্তান লইয়া এই অরণ্য মধ্যে পলায়ন করিতেছি, হঠাৎ এক ব্যাত্র অণমাদিগকে আক্রমণ করিতে আসিল । আমি ভয়ে বিহ্বল হইয়া ভূমিপৃষ্ঠে পতিত ও মুচ্ছিতপ্রায় হইলাম। তথায় ব্যাধগণ একটা ফঁাদ পাতিয়া তন্মধ্যে এক মৃত গাতি রাখিয়াছিল, সন্তানটা আমার হস্ত হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া সেই গণভির ক্রোড় মধ্যে প্রবিষ্ট হইল । ব্যাস্ত্ৰ কালপ্রেরিত হইয়াই যেন আমাকে ছাড়িয়া সেই গতিকে অাকর্ষণ করিতে লাগিল। এমন সময় ফঁাদ হইতে এক বাণ বিনির্গত হইয়া ব্যান্ত্রের প্রাণ নাশ করিল। পরে দেখিলাম শবরের আসিয়া মৃত ব্যাঘ্র ও জীবিত বালক লইয়া প্রস্তান করিল। আমার কন্যা যে কোথায় গেল, কিছুই জানি না । সেই জন্য এই রোদন করিতেছি। মহারাজ ! এই কথা বলিয়াই সে আপন প্রভুর অহুগামিনী হইবার মানসে প্রস্থান করিল । আমি তখন মহারাজের মিত্র মিথিলারাজের বিপদ শ্রবণে দুঃখিত হইয়া তাহার সন্তানের অতুসন্ধান করিতে লাগিলাম, দেখিলাম অরণ্যস্থিত চণ্ডিক দেবীর সম্মুখে একটা কুমার রহিয়াছে । শবরের তাহাকে বলিদান দিবার মানস করিয়াছে। অামি শবরগণকে বলিলাম, অহে ব্যাধ গণ ! আমি বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ, আমার একটা শিশু হারাইয়াছে . তোমরা কি দেখিয়াছ : তাহারা আমার প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ পূৰ্ব্বক সেই বালককে লক্ষ্য করিয়া বলিল, যদি এইটা তোমার শিশু হয় লইয়া যাও । আমি তাহাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বালকট লইয়া এই অাসিতেছি, মহারাজকে উপহার দিলাম । রাজা বন্ধর বিপত্তির কথা শুনিয়া কাতর হইলেন এবং উপহার প্রাপ্ত হওয়াতে বালকের উপহারবর্ণা নাম রাখিয়া রাজবাহনের নrায় পালন করিতে লাগিলেন ।