পাতা:দশকুমার.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W দশকুমার রাজহংস একদা তীর্থসানার্থ অরণ্যপথে যাইতেছিলেন, এক শবরীর ক্রোড়ে পরম সুন্দর রাজলক্ষণাক্রান্ত একটী সন্তান দেখিতে পাইলেন, জিজ্ঞাসিলেন অবলে ! এই রাজকুমারকে তুমি কোথায় পাইলে । সে বলিল রাজন অরণ্যপথে শবরসৈন্যেরা একদা মিথিলীরাজের সর্বস্ব হরণ করিয়াছিল। সেই সময়ে আমার স্বামী এই শিশুটা হরণ করিয়া আনিয়াছেন। রাজহংস সেই শিশুকে মিত্র মিথিলারাজের পুত্ৰ বিবেচনা করিয়া শবরীকে ধন দীন পূৰ্ব্বক শিশুটী আনিলেন, এবং শবরের অপহৃত বলিয়া অপহীরবর্শ্ব। নাম দিয়া ভাহীকে দেবীহস্তে প্রতিপালনfথ সমপৰ্ণ করিলেন । একদা বামদেবের এক শিষ্য, রাজার সম্মুখে একটী বালক অনিয়া বলিলেন রাজন ; আমি রামতীর্থে সুন করিতে গিয়াছিলাম। প্রত্যাগমন কালে দেখিলাম, বনমধ্যে এক বৃদ্ধ। এই কুমার ক্রোড়ে আকুলিতচিত্তে চতুৰ্দ্দিক অবলোকন করিতেছে। জিজ্ঞাসিলাম বৃদ্ধে তুমি কে, এই শিশুটাই বা কে,কিজন অরণ্যে একাকিনী আসিয়াছ। বৃদ্ধ বলিল মহাশয় । কালযবন দ্বীপে কালগুপ্ত নামে এক বণিক আছেন । মগধরাজ্যের রাজমন্ত্রীর পুত্র রত্নোদ্ভব বাণিজ্যাৰ্থ ঐ দ্বীপে উপনীত হইয়া কালগুপ্তের কন্যণকে বিবাহ করেন । কালক্রমে তিনি গর্ভবতী হইলেন। পরে রত্নোদ্ভব শ্বশুরের অনুমতি লইয়া সস্ত্রীক স্বদেশে যাত্র করেন । দুর্ভাগ্য বশতঃ সমুদ্রে যান ভগ্ন হইয়। নিমগ্ন হইল। আমি সেই কন্যার ধাত্রী। সেই গর্ভিণীকে হস্তে ধরিয়া এক কাষ্ঠফলক অবলম্বন করিয়া এই তীরে উত্তীর্ণ হইয়াছি। রত্নেীপ্তব জলমগ্নই হইলেন, কি কোথাও উত্তীর্ণ হইলেন, কিছুই জানিনা। তাহার পত্নী একে পূর্ণগর্ভা, তাহে আবার বারি প্রবাহে অশেষ ক্লেশ ভোগ করিলেন, তাহীতে প্রসববেদন উপস্থিত হইল। বন মধ্যেই এই পুত্ৰটী প্রসব করিয়া অবিলম্বেই মুচ্ছি ত হইয়া পড়িলেন । আমি কি করি, শিশুটী লইয়া লোকালয়ের পথ অন্বেষণ করিতে আসিয়াছি । ইহার জননী বিচেতন সেই হু নেই পতিত রহিয়াছেন । মহারাজ ! বদ্ধ। এই কথা কহিতেছে, এমন সময় এক বন্য হস্তী