পাতা:দশকুমার.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৰ্ব্বপীঠিকা। >Nう আছেন । জিজ্ঞাসিলাম মহাশয় । আপনি কে ? কিজন্য এরূপ দৈন্যভাবাপন্ন এই অরণ্যে বসিয়া রহিয়াছেন : তিনি বলিলেন মহাশয় ! আমি দরিদ্র ব্রাহ্মণ, এই দেশে ভিক্ষা করিয়া এই মাতৃহীন সন্তানগুলি প্রতিপালন করি । এই মন্দিরই আমার বাসস্থান । ঐ মন্দিরের অনতিদূরে এক শিবির সংস্থাপিত দেখিয়া, ব্রাহ্মণকে তাহার বিবরণ জিজ্ঞাসিলাম । তিনি বলিতে লাগিলেন। মহাশয় ? এতদেশের অন্তঃপাতী পাটলী নামে এক নগরী আছে। তথাকার রাজার নাম বীরকেতু। তাহার কন্যার রূপলাবণ্যের কথা শুনিয়া, লাট দেশের রাজা মত্তকাল, তাহীর পাণিগ্রহণে অভিলাষী হন, এবং বীরকেতুর নিকট বারম্বার সেই কন্য। প্রার্থনা করেন । কিন্তু বীরকেতু তাহার প্রার্থন পরিপূরণে সম্মত না হওয়াতে, মত্তকাল সসৈন্য আসিয়া পাটলী অবরোধ করিলেন । বীরকেতু ভীত হইয়। অগত্য র্তাহাকেই কন্যারত্ব উপায়ন দিলেন । মত্তকাল কন্যারত্ন লাভে হৃষ্ট হইয়া স্বদেশে প্রস্থান করিতেছেন,এই স্থানে মৃগয়ার্থ কটক স্থাপন করিয়াছেন । ইহার কিঞ্চিৎ পশ্চাতে বীরকেতুর মন্ত্রী মানপাল সসৈন্যে শিবির সন্নিবেশ করিয়া রহিয়াছেন । মত্তকাল বলপূৰ্ব্বক প্রভুর কন্যারত্ন হরণ করিয়াছে, যদি কোনরূপে তাহাকে পরাভব করিয়া কন্য। প্রত্যাহরণ করিতে পারেন, মানপালের এই আন্তরিক অভিপ্রায় । অামি ব্রাহ্মণের প্রমুখাৎ এই সংবাদ পাইয় তাহার উপর পরম পরিতুষ্ট হইলাম। এবং, ব্রাহ্মণ বিদ্বান বৃদ্ধ নির্ধন ও বহুসন্তান, অতএব দীনের যোগ্যপত্রে, এই বিবেচনা করিয়া সেই রত্নট তাহাকে দিলাম। ব্রাহ্মণ রত্ন পাইয়া আহলাদে পুলকিত হইয়া তথা হইতে প্রস্থান করিলেন। আমি নিতান্ত শ্রান্ত হইয়াছিলাম তথNয় নিদ্রাগত হইলাম। ক্ষণকাল পরে নিদ্রাভঙ্গ হইবামাত্র দেখিলাম সেই ব্রাহ্মণকে পশ্চাদ্বদ্ধ করিয়া কতগুলা পুরুষ অসিতেছে। তাহারা অসিয়াইব্রাহ্মণকে পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক আমাকে ধরিয়া লইয়া চলিল। পরে কারাগারে বদ্ধ করিয়া, এই তোমার বন্ধুবৰ্গ রহিয়াছেন, এই কথা বলিয়া চলিয়া গেল ।