পাতা:দশকুমার.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ぐり দশকুমার হুইয়া তাহাকে শূন্যে শূন্যেই লুফিয়া ধরিয়া নামাইলাম এবং শীতল জল দ্বারা তাহার পতনজনিত মুচ্ছ ভঙ্গ করিয়া জিজ্ঞাসিলাম তুমি কে, কি নিমিত্ত এইরূপে পতিত হইলে তিনি বলিলেন সৌম্য ! আমি মগধনাথের অমাত্য পদ্মোস্তবের পুত্র । আমার নাম রত্নোদ্ভব । আমি বাণিজ্যাৰ্থ কালযবন দ্বীপে উপনীত হইয়। এক বণিক-দুহিতাকে বিবাহ করিয়া কিয়ৎ কাল তথায় বাস করি। কালক্রমে তাহার গর্ভসঞ্চার হয় । পরে বনিতার সহিত স্বদেশে আসিতেছিলাম, সমুদ্রে যান ভঙ্গ হওয়াতে সকলে জলমগ্ন হইলাম। আমি কোনরূপে কূল পাইলাম বটে, কিন্তু প্রাণসম প্রিয়তমার বিয়োগে প্রাণ ধারণ করা ভার হইয়া উঠিল । তখন এক সিদ্ধ পুরুষ বলিলেন, বহু কাল বিলম্বে তুমি পুনর্বার প্রিয়তমাকে প্রাপ্ত হইবে। এক্ষণে ষোড়শ বর্ষ অতীত হইল অদ্যপি পাইলাম ন। সেই শোকে আনি প্রাণ পরিত্যাগার্থ এই গিরিশৃঙ্গ হইতে পতিত হইয়াছি । দেব! প্রভূরাজহংসের নিকট আমি আপন জন্মবিবরণ অবগত - হইয়াছিলাম। এক্ষণে র্তাহার এই বিবরণ শ্রবণ করিয়া তাহাকে পিতাই নিশ্চয় করিলাম । ইতিমধ্যে অকস্মাৎ স্ত্রীলোকের এইরূপ আৰ্ত্ত নাদ কর্ণগোচর হইল “ সিদ্ধপুরুষের আদেশ আছে অবশ্যই তোমার পুনৰ্ব্বার পতি পুত্র প্রাপ্তি হইবেক, জ্বলন্ত অনলে শরীর সমপণ করি ও না ,, আমি এই অর্জনদি শুনিয়া তাহাকে বলিলাম, আপনকার সহিত অনেক কথা আছে, এই স্থানে একটু অপেক্ষ করুন। কি শব্দ হইতেছে, শুনিয়া আসি । এই বলিয়া দ্র তপদে শব্লক্ষ্যে কিয়ৎ দূর গমন করিলাম। দেখিলাম, একটা ভদ্রজাতীয় স্ত্রীলোক অগ্নি প্রবেশের উপক্রম করিতেছেন, নিকট বৰ্ত্তিনী এক বৃদ্ধ ভঁহাকেনিষেধ করিতেছে। আমি সেই স্ত্রীলোককে অগ্নিকুণ্ডের নিকট হইতে পিতার নিকট লইয়া আসিলাম । এবং বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসিলাম কিজন্য তোমাদের এরূপ দুরবস্থা ঘটিয়াছে বল । বুদ্ধা করুণ বচনে বলিতে লাগিল বৎস ! ইনি কালযবন