পাতা:দশকুমার.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বপীঠিকা। ›ፋ দ্বীপের কালগুপ্ত বণিকের কন্যা । মগধরাজের মন্ত্রিনন্দন রত্নোদ্ভব ইহার স্বামী। উভয়ে সমুদ্র-পথে আসিতে ছিলেন, দুর্ভাগ্যবশতঃ যান ভঙ্গ হওয়াতে সকলেই জলমগ্ন হইলেন । ইনি আমার সহিত এক ফলক অবলম্বন করিয়া তীরে উঠিলেন । ইনি তখন পূর্ণগর্তবতী ছিলেন, সেই তীর ভূমিতেই একটা পুত্র প্রসব করিয়া মুছিত হইয়া পড়িলেন। তখন আমি সন্তানটী লইয়া লোকালয় অন্বেষণ করিতে গমন করিলাম। পথিমধ্যে এক বন্য হস্তী দেখিয়া অতিশয় ভীত হইলাম। যেমন পলায়ন করিব, সন্তানটা হস্ত হইতে পতিত হইল । হস্তী অবিলম্বেই সন্তানটা তুলিয়া লইল । আমি রোদন করিতে করিতে ইহার নিকট প্রত্যাগত হইয়া দেখিলাম, ইহঁীর চৈতন্য হইয়াছে, রোদন করিতেছেন। পরে আমার মুখে পুজের বিবরণ শুনিয়া আরো রোদন করিতে লাগিলেন । এমন সময় এক সিদ্ধ পুরুষ আসিয়া বলিলেন, ষোড়শ বৎসরের পর ইনি পতি ও পুত্ৰ প্রাপ্ত হইবেন । সেই আশায় এত কাল এক পুণ্যাশ্রমে থাকিয় প্রাণ ধারণ করিয়াছিলেন । এক্ষণে আর বিরহ যন্ত্রণ সহ করিতে ন পারিয়া অগ্নি প্রবেশ করিতেছিলেন, তুমি ধরিয়া আনিলে । এই বৃত্তান্ত শ্রবণে অামি তাহাকে জননী জানিতে পারিয়৷ ঢরণে প্রণাম করিলাম, এবং আপিন বিবরণ সমস্ত কহিলাম । তখন আমার পিতা একদাই স্ত্রীপুত্ৰ পাইয়া এবং মাতা একদাই পতি পুত্ৰ পাইয়। আনন্দৰ্ণৰে মগ্ন হইলেন । পিতা আমাকে জিজ্ঞাসিলেন, রাজ রাজহংস এক্ষণে কি অবস্থায় আছেন । আমি মহারাজ রাজহংসের রাজ্য ভ্রংশ প্রভৃতি সমুদায় বৃত্তান্ত নিবেদন করিলাম। অনন্তর পিতা মাতাকে,এক আশ্রমে রাখিয়া, পুনর্বার অীপনকার অন্বেষণে বাহির হইলাম । বিন্ধ্যাটী মধ্যে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া নানা চিহ্ন দেখিতে পাইলাম। দেখিয়া বোধ হইল, অতি প্রাচীন কালে তথায় এক বদ্ধিষ্ণু নগর ছিল, এক্ষণে জঙ্গল হইয়া গিয়াছে । ভাগ্যক্রমে আমি সেই স্থানে বিস্তর অর্থ প্রাপ্ত হইলাম। পরে, উজ্জয়িনী নগরবাসী চন্দ্রপাল নামক বণিক বিন্ধTরণ্য সান্নিধো কটক স্থাপন