পাতা:দশকুমার.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বপীঠিক Rථ বিশারদ, মণিমন্ত্র ঔষধি প্রয়োগে চতুর, এবং দেবতার অমৃগৃহীত, উইকে সমুচিত সমiদর কর । বালচন্দ্রিকার যুখচন্দ্র-বিনির্গত এই রচনামৃত শ্রবণে অবস্তিস্থ নারী সাতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন । এবং মদনসুন্দর কুমারকে উপযুক্ত আসনে উপবেশন করাইয়া, সখীহস্ত দ্বারা গন্ধ পুষ্প তাম্বলাদি প্রদান করিলেন। রাজবাহন মনে মনে ভাবিলেন “ এই রমণী আমার পূর্ব জন্মের জায়া যজ্ঞবতীই হইবেন, নতুবা ইহাতে আমার মন কেন এমন অহরক্ত হইতেছে। যাহা হউক, সন্দেহ ভঞ্চন করা কৰ্ত্তব্য । তপোনিধির অভুগ্রহে । আমরা উভয়েই জাতিস্মর হইয়া জন্মিয়ছি। এক্ষণে ইহাকে পুৰ্ব্ব জন্মের কথা স্মরণ করিয়া দি। ইহারও যদি পুৰ্ব্ব জন্মের কথা স্মরণ হয়, তাহ হইলে সংশয় দূর হইবেক। রাজবাহন এইরূপ ভাবিতেছেন, যদৃচ্ছাক্রমে তথায় এক রাজহংস আসিয়া উপস্থিত হইল। রাজকন্যা উৎসুক হইয়া সখীকে হংস ধরিতে আদেশ করিলেন । রাজবাহন সময় বুঝিয়া বলিলেন “ সখি ! পুৰ্ব্বকালে শাম্ব নামে ভুপতি, মহিষী যজ্ঞবতীর সহিত জলক্রীড়াথ কমলাকরে গমন করেন। তথায় বিকসিত পদ্ম মধ্যে এক রাজহংস নিদ্রিত রহিয়াছে দেখিলেন । কৌতুকাবিষ্ট হইয়া পদ্মমৃণালে তাহার পদদ্বয় বদ্ধ করিয়া, সহস্যবদনে প্রিয়াকে বলিলেন সুমুখি! আমি হংস বাধিয়া রাখিয়াছি, তুমি ইহাকে লইয়া ক্রীড়া কর। তখন সেই হংসরুপী তাপস শাম্বকে শাপ দিলেন রাজন্‌ ! আমি এখানে সুখে তপস্য। করিতেছি, তুমি আমাকে অকারণে অবমান করিলে, এই পাপে তোমাকে প্রিয় বিরহ যন্ত্রণ ভোগ করিতে হইবেক । শাপ শ্রবণে শাম্ব বিষন্ন-বদন হইয়া বিনয় বচনে বলিলেন,মহাশয় । আমি নাজানিয়া কুকৰ্ম্ম করিয়াছি, অপরাধ ক্ষমা করুন । তাপস'র্তাহার বিনয়ে সদয় হইয়া বলিলেন, যাহা বলিয়াছি মিথ্যা হইবেক না, কিন্তু এজন্মে ন হইয়া জন্মান্তরে মাসদ্বয়মাত্র তোমার চরণদ্বয় শৃঙ্খলবদ্ধ হইবেক এবং পিয়া বিয়োগ দুঃখ ভোগ করিতে হইবেক । পরে তিনি অনুগ্রহ পুৰ্ব্বক আমাদিগকে জাতিস্মর করিয়া দিলেন । অতএব হে বালচত্ৰিদকে : মরাল বন্ধন করিও না ।