পাতা:দশকুমার.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$9 দশকুমার অনন্তর ধনমিত্র উপহীরবর্শা, অর্থপাল, প্রমতি, মিত্রগুপ্ত, মন্ত্রগুপ্ত, বিগুরুত, মিথিলারাজ প্রহীরবর্ম, কাশীরাজ কামপাল, এবং অঙ্গরাজ সিংহবৰ্ম্মাকে সমভিব্যাহারে লইয়। তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া প্রণাম করিলেন ৮ার্জবাহন অতি আছাদে গাত্ৰোখান করিয়া,আহে ! সমস্ত মিত্রই একত্র উপস্থিত হইয়াছেন, কি আনন্দের বিষয় ! এই বলিয়া তাহাদিগকে যথোচিত সম্বন্ধন ও আলিঙ্গনাদি করিলেন। বন্ধুগণের নিকট পরিচয় পাইয়া, কাশীরাজ, মিথিলারাজ ও অঙ্গরাজ এই তিন প্রাচীন রাজাকে পিতার ন্যায় সমাদর করিলেন। বয়োবৃদ্ধ রাজার হর্ষে পুলকিত হইয়া তাহাকে আলিঙ্গন করিলেন। বহুকালের পর মিত্ৰগণের একত্র সমাগম হওয়াতে সকলেই আনন্দ সাগরে মগ্ন হইয়া, নিজ নিজ বৃত্তান্ত কথনে প্রবৃত্ত হইলেন। প্রথমতঃ রাজবাহন আপনার, সোমদত্তের ও পুষ্পোস্তবের বৃত্তান্ত ক্রমে ক্রমে বর্ণন করিলেন। পরে আর আর বন্ধুবর্গের বৃত্তান্ত শ্রবণে কৌতুকী হইয়া, অগ্রে অপহীরবর্শাকে অপেন বিবরণ বর্ণন করিতে অমু ষতি করিলেন । দ্বিতীয় উচ্ছ্বাস। অপহীরবর্শ চরিত । অপহীরবর্শা বলিলেন, দেব ! আপনি ব্রাহ্মণের উপকারার্থ পাতাল বিবরে প্রবেশ করিলে, আপনকার অন্বেষণার্থ সমস্ত মিত্র গণ বহির্গত হইলেন । আমিও আপনকার উদেশে দেশে দেশে ভ্রমণ করিতে লাগিলাম । এক দিন শুনিলাম অঙ্গরাজ্যে চম্পানগরীর বহির্ভাগে গঙ্গাতীরে মহাতপ ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান কালত্রয়দর্শী মরীচি নামে এক মহর্ষি অবস্থিতি করেন । তাহার নিকট আপনকার বৃত্তান্ত জানিবার বাসনায় আমি সেই আশ্রমে উপস্থিত হইলাম। দেখিলাম তথায় এক আমবুক্ষের ছায়ায় বিবর্ণ