পাতা:দশকুমার.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপহারবর্ম চরিত। ©ዓ ঐশ্রষ্ট এক তাপস উপবিষ্ট আছেন। তিনি আমাকে যথেষ্ট সম্বস্বনা করিলেন । আমি ক্ষণকাল বিশ্রামের পর তাহাকে জিজ্ঞাসা * করিলাম মরীচি মহর্ষি কোথায়? অনেক দিন হইল, আমার বন্ধু কোন প্রয়োজন সিদ্ধির উদেশে বিদেশে গিয়াছেন, এক্ষণে তিনি কোথায় আছেন, কিরূপ আছেন, কিছুই সংবাদ পাই নাই । মহর্ষি কালত্রয়দর্শী বলিয়া সৰ্ব্বত্র প্রসিদ্ধি আছে। তাহার নিকট বন্ধ র বৃত্তান্ত অবগত হইবার নিমিত্ত আমি আসিয়াছি। সেই স্ত্রীভ্রষ্ট তাপস একটা দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া মরীচির বিবরণ বিস্তারিত রূপে বলিতে লাগিলেন । এই আশ্রমে তাদৃশ প্রভাবশালী মহর্ষি ছিলেন। একদা এই চম্পানগরীরভূষণ স্বরূপ অতি স্বরূপ কামমঞ্জরী নামে বারনারী মহর্ষির সমক্ষে উপস্থিত হইল, এবং ভূমিপতিত হইয়া বন্দনা করিতে লাগিল। তৎপরক্ষণেই সেই বারবনিতার মাতা প্রভৃতি স্বজনের উচ্চৈঃস্বরে অতি কাতরে ক্ৰন্দন করিতে করিতে আসিয়া ভূতলে মুনির পদতলে পতিত হইল। অতি দয়ালু মরীচি মহর্ষি স্নেহ বাক্যে তাহাদিগকে আশ্বাস প্রদান করিয়া, গণিকাকে তাহার দুঃখের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । কণমমঞ্চরী বিষগ্ন-বদনে সলজ্জভাবে তাহার নিকটে করপুটে নিবেদন করিল ভগবন্‌ ! এ ব্যক্তি ঐহিক সুখসম্ভোগে জলাঞ্জলি দিয়া এক্ষণে পারলৌকিক মঙ্গলাকাঙ্ক্ষায় সংসার হইতে বহির্গত হইয়াছে, এবং আপনাকে দুঃখিত-পরিত্ৰাণে দীক্ষিত জানিয়া আপনকার চরণে শরণাপন্ন হইয়াছে। গণিকার এই রূপ নিবেদনের পরক্ষণেই তাহার মাতা কৃতাগুলি হইয়া বিনয় বচনে বলিল ভগবনৃ আমার এই কন্যার নিকট আমি যে অপরাধ করিয়াছি, নিবেদন করি। বেশ্যণজাতির যে স্বধৰ্ম্ম নিদিষ্ট আছে, এই কন্যা তাহা অগ্রাহ করিয়া এক নিৰ্দ্ধন ব্রাহ্মণ যুবকের প্রতি অহরক্ত হইয়াছে। আপন অর্থ ব্যয় করিয়া, প্রায় এক মাস, তাহার সহিত আমোদ প্রমোদে কাল হরণ করিতেছে । অন্য কোন ধনবান পুরুষ আসিলে তাহার সহিত আলাপও করে মা, তাহাতে অনেকে ক্রুদ্ধ হইয়াছে । সুতরাং উপার্জনের পথ