পাতা:দশকুমার.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@公8 দশকুমার আসিয়া দিবারাত্র কেবল রাগমঞ্চরী চিন্তায় মগ্ন হইলাম। শিরোবেদনাচ্ছলে এক নির্জন গৃহে শয়ন করিয়া থাকিলাম । ধনমিত্র আমার অবস্থা দর্শনে সমস্ত বুঝিতে পারিয়া আমাকে বলিলেন সখে ! ধন্য সেই বীরকন্য, যে তোমার অন্তঃকরণকে এরূপ মোহিত করিয়াছে । আমি তাহার তৎকালীন ভাব ভঙ্গী দেখিয়া জানিতে পারিয়াছি, তাহারও তোমার প্রতি প্রণয়প্রবৃত্তি হইয়াছে। কামদেব তাহাকেও তোমার ন্যায় ব্যাকুলিত করিয়াছেন, সন্দেহ নাই। এক্ষণে এক স্থানে উভয়ের মিলনের অপেক্ষ। মাত্র রহিয়াছে। কিন্তু তাহার সহিত সমাগমের একটা প্রতিবন্ধক আছে। সেই বারবিলাসিনী বেশ্য ধৰ্ম্ম অবলম্বন না করিয়া কুলকামিনীর ন্যায় একমাত্র বিবাহিত স্বামি সমাগমে কাল যাপন করিবেক প্রতিজ্ঞ করিয়াছে। এই প্রতিজ্ঞ শ্রবণে তাহার ভগিনী কামমঞ্জরী এবং তাহার মাতা মাধবসেন তাহাকে স্বধৰ্ম্ম অবলম্বনের নিমিত্ত বিস্তর বুঝাইয়াছিল। কিন্তু সে কোনরূপেই তাহাদিগের মতামুযায়িনী হয় নাই। পরে তাহারা এই বিষয় রাজগোচর করে। রাজা রাগমঞ্জরীকে ডাকাইয়া অনেক উপদেশ দিয়াছিলেন তথাপি তাহাকে স্বধৰ্ম্মে প্রবৃত্ত করিতে পারেন নাই । অনন্তর তাহার ভগিনী ও জননী বিনয় পুৰ্ব্বক নৃপতির নিকট প্রার্থনা করিল “মহারাজ ! যদি কোন ব্যক্তি আমাদের অমতে রাগমঞ্জরীকে বিবাহ করে তাহা হইলে আপনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করিয়া তাহার দণ্ড বিধান করিবেন , । রাজা তাহীদের প্রার্থনা পুর্ণ করিবেন স্বীকার করিয়াছেন । অতএব এবিষয়ে যাহা পরামর্শ হয় কর । আমি বলিলাম তবে অার ভাবনা কি, রাগমঞ্জরীর প্রতিজ্ঞ শ্রবণে বোধ হইতেছে সে ধনলুব্ধ নহে,গুণলুব্ধ । অতএব তাহাকে ৰশ করা কঠিন কৰ্ম্ম নয়। তাহার ভগিনী ও জননী কেবল ধনেরই আকাঙ্ক্ষা করে। তাহাদিগকে গোপনে প্রচুর ধন দান করিলেই তাহারা সম্মত হইৰেক। আমি মিত্রের সহিত এই পরামর্শ স্থির করিয়৷ ধর্শ্বরক্ষিত নামে কামমঞ্জরীর দুর্তীকে কিঞ্চিৎ অর্থ দিয়া বশীভুত করিলাম। তাহার দ্বারা কামমঞ্জরীকে এই কথা বলিয়া পাঠাইলাম,