পাতা:দশকুমার.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)8 দশকুমার শৃগালিকা এই সমস্ত বিবরণ কহিয়া পরিশেষে বলিল, আমি এই পর্যন্ত করিয়া তুলিয়াছি, এক্ষণে যাহা কৰ্ত্তব্য, কর । দেব ! এই সমস্ত শুনিয়া আমি শৃগালিকার প্রতি পরম প্রীত হইলাম, বলিলাম শৃগালিকে! ধন্য, আমি তোমাকে যাহা করিতে বলিয়া ছিলাম, তুমি তদপেক্ষা অধিক করিয়াছ। যাহাহউক, এক্ষণে কান্তককে আমার নিকটে আনয়ন কর । অনন্তর, কান্তক অামার নিকট আসিয়া, অামাকে করা হইতে মোচন করিয়া দিবেক শপথ পুৰ্ব্বক প্রতিজ্ঞ করিল। আমিও বলিলাম এই গোপনীয় ব্যাপার আমি কদাচ প্রকাশ করিব না । তাহ শুনিয়া কণন্তক অামার নিগড় বন্ধন ছেদন করিয়া দিল। আমি কারাগারের এক অন্ধকার গৃহে ভিত্তিকোণ হইতে আরম্ভ করিয়া উপবন পর্যন্ত, সৰ্পমুখীকৃতি এক প্রশস্ত সুরুঙ্গ প্রস্তুত করিলাম । মনে মনে চিন্তা করিলাম “ কান্তক আমার প্রাণ বিনাশ করিবার ইচ্ছা করিয়াই বন্ধন মোচনের শপথ করিয়াছে। অতএব সে আততায়ী। তাহীকে বিনাশ করিলে তাদৃশ পাপস্পর্শ হইতে পারে না । বিশেষতঃ তাহাকে বিনাশ না করিলে, আপন প্রাণ রক্ষীরও উপায়ান্তর নাই , । আমি সন্ধি খনন করিয়া কারাগুহে প্রত্যাগত হইলে, কান্তক আমাকে পুনবীর বদ্ধ করিবার উপক্রম করিল। তখন আমি তাহাকে বলপুৰ্ব্বক ভূতলে ফেলিয়া, বক্ষঃস্থলে বসিয়া, তাহারই খড়্গ দ্বারা তাহার শিরশ্চেদন করিলাম । অনন্তর শৃগালিকাকে কহিলাম ভদ্রে! তুমি রাজকন্যার অন্তঃপুরের সমুদায় বৃত্তান্ত অবগত আছে, আমাকে বলিয়া দাও, তথায় একবার যাইবার ইচ্ছা হইতেছে। শৃগালিকা আমার সমক্ষে অন্তঃপুর বৃত্তান্ত অবিকল বর্ণন করিল । আমি নিশীথ সময়ে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম, অন্তঃপুর, নানাবিধ আলোকে আলোকময় হইয়াছে। পরিজনগণ অচেতন প্রায় নিসুপ্ত রহিয়াছে। আশ্চর্য পৰ্য্যঙ্কে অপুৰ্ব্ব শয্যার উপর রাজকন্যা একপাশ্বে নিদ্র। যাইতেছেন । র্তাহীর মনোহর উরুদ্বয় পরস্পর সংলগ্ন রহিয়াছে। নিতম্ব দেশে একখানি হস্ত শিথিলভাবে পতিত রহিয়াছে। অবিরত নিশ্বাস