পাতা:দশকুমার.djvu/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

영e দশকুমার লুঙ্গায়িত হইয়। রহিল । ব্যাঘ্র তখন কালগ্রেরিত হইয়াই যেন, আমাকে ছাড়িয়া ঐ কপিলাকে আক্রমণ করিল, যেমন আকর্ষণ করিবেক অমনি সেই কল হইতে এক বাণ বিনির্গত হইয় তাহার প্রাণ সংহার করিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ব্যাধের আসিয়া, পরম সুন্দর পুত্ৰ পাইয় গৃহে লইয়া গেল। আমি সেইখানেই অচেতন প্রায় পতিত রহিলাম । অনন্তর এক দয়ালু বনচর আসিয়া আমাকে আপন কুটীরে লইয়া গেলেন, এবং অতি যত্নে আমার ক্ষতাদির চিকিৎসা করিলেন । আপনি সুস্থ হইলাম বটে, কিন্তু পুত্রটর নিমিত্ত অত্যন্ত ব্যাকুল হইতে লাগিলাম। অনেক অনুসন্ধান করিয়াও তাহার উদেশ না পাওয়াতে নিতান্ত নিরাস হইয়া রোদন করিতে করিতে প্রভুর উদেশে চলিলাম। পথিমধ্যে এক মুনির সহিত সাক্ষাৎ হষ্টল । তিনি আমার শোকের কারণ জিজ্ঞাসিলেন। তাহাকে সমস্ত বৃত্তান্ত বলিয়, গমন করিতেছি, এমন সময়, আমার কন্যা এক যুবা পুরুষ সমভিব্যাহারে যাইতেছে, দেখিতে পাইলাম। কন্য। আমাকে দেখিয়াই করুণস্বরে রোদন করিতে লাগিল । অনেক ক্ষণ লণদনের পর বলিল “ আমি সেই দুরাহা দস্থাদিগের অস্ত্রাঘাতে ক্ষত বিশত হইয়া, রাজপুত্রকে সঙ্গে করিয়া বনমধ্যে পলায়ন করিতেছি, এক বTাধ আসিয়া বলপুৰ্ব্বক রাজনন্দনকে গ্রহণ করিয়া প্রস্তান করিল । অবিলম্বেই আর এক ব্যাধ আমাকে বয়স্তা দেখিয়া আপন ভবনে লইয়া গেল। ৰখন আমার রোদন বৈ আর উপায় রহিল না। ব্যাধ আমাকে নানা উপংয়ে সুস্থ করিয়া বিবাহ করিতে চাহিল। অামি নীচ সংসর্গ ভয়ে নিতান্ত কাতর হইতে লাগিলাম । এমন সময় ভাগ্যক্রমে এই যুব পুরুষ তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন । এবং আমাকে ব্যাধ হস্ত হইতে মুক্ত করিয়া বিবাহ করিলেন। এক্ষণে প্রভুর নিকট যাইতেছি, তোমার সঙ্গে দেখা হইল । অামি সেই যুব পুরুষের পরিচয় লইলাম। তিনি আমাদের রাজারই এক জন ভূতা। কেন কারণে পথে বিলম্ব হইয়াছিল এক্ষণে প্রভুর নিকট গমন করিতেছেন । তখন আমরা তাহারি সমভি