অর্থপাল চরিত। ԵՋ করিয়া, আমার প্রতি যথেষ্ট অস্থগ্রহ প্রকাশ করিয়াছ। কিন্তু আমি তৎকালে বুঝিতে না পারিয়া, তোমার প্রাণ বধের আদেশ করিয়া অপরাধী হইয়াছি। এক্ষণে আমার অপরাধ মার্জন কর, প্রসন্ন হও । কান্তিমতী কি, সমস্ত রাজ্যই তোমার হস্তে সমর্পণ করিলাম। এই বলিয়া চণ্ডসিংহ বিনয় করিতে লাগিলেন । আমি তাহার বিনয়ের বশীভূত হইয়া খড়গ পরিত্যাগ পূর্বক তাহাকে অভয় প্রদান করিলাম। অনন্তর,প্রিয়তম কান্তিমতীর গৃহে গমন করিয়া দেখিলাম, তারাবলী তাহার সমক্ষে তাহার ও সন্তানটর পূৰ্ব্ব জন্মের বৃত্তান্ত বর্ণন করিতেছেন। বিরহ-কাতরা কান্তিমতী অকস্মাৎ আমাকে দেখিয়া সাতিশয় আঁঙ্কাদিত হইলেন। আমি তাহাদের উভয়ের সহিত পরম সুখে নিশা অবসান করিলাম । পরদিন রাজা চণ্ডসিংহ অমাত্যবর্গ ও প্রধান প্রধান পোররগকে আহবান করিয়া সৰ্ব্ব-সমক্ষে আমার সহিত আপন কন্যার বিবাহ বিধি যথাবিধি নিৰ্ব্বাহ করিলেন । এবং আমার উপর সমস্ত রাজকাৰ্য বিষয়ক মন্ত্রণার ভার সমর্পণ করিলেন । তদবধি অামি মন্ত্রি-কাৰ্য নিৰ্ব্বাহ করিতেছি । দেব ! পুর্ণভদ্র, অামার পিতার এই বৃত্তান্ত কহিয়া, পুনৰ্ব্বার বলিতে লাগিল সৌম্য ! আমি যে কারণে রোদন করিতেছি, শ্রবণ কর । রাজা চণ্ডসিংহ বৃদ্ধাবস্থা প্রযুক্ত রাজকাৰ্য পর্যালোচনায় অসমর্থ হইয়া জ্যেষ্ঠপুত্র চণ্ডঘোষকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিলেন। দুর্ত গ্য বশতঃ তিনি ক্ষয়রে গগ্ৰস্ত হইয়া অল্পকাল মধ্যেই মৃত্যু-হস্তে পতিত হইলেন। কিছুকাল পরে চণ্ডসিংহও লোকযাত্রা সম্বরণ করিলেন। চণ্ডসিংহের কনিষ্ঠপুত্ৰ সিংহঘোষ তৎকালে পঞ্চম বর্ষীয় বালক, কামপাল তাহাকেই রাজ্যাভিষিক্ত করিলেন । এবং তাহাকে সুশিক্ষিত ও সচ্চরিত্র করিবার নিমিত্ত যথেষ্ট চেষ্টা পাইলেন । কিন্তু তাহার সমুদায় চেষ্টা বিফল হইল। সিংহঘোষের ৰয়োবৃদ্ধি সহকারে কেবল দোষেরই বৃদ্ধি হইতে লাগিল। তিনি যৌবনাবস্থা প্রাপ্ত হইলে, কতগুলা অসৎ লোক তাহার সহচর হইল । তাহার কামপালের উপর তাহার বিদ্বেষ-বুদ্ধি জন্মাই
পাতা:দশকুমার.djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।