এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম উপদেশ। ১ মাঘ বৃহস্পতি বার ১৭৯১ শক । “ ব্রহ্মধাদিনোবদন্তি " মমুষ্যের জ্ঞান ও ধর্মের উন্নতির প্রণালী বিবেচনা করিলে প্রতীতি হয় যে, ঈশ্বর যেমন এক একট পরমাণুর সহিত এক একটী পরমাণুর সম্বন্ধ রাখিয়াছেন, তেমনি এক একটী মনুষ্যের সহিত এক একটী মনুষ্যের, এক একটী আত্মার সহিত এক একটী আত্মার ও আর আর তাবতীয় বাহ পদার্থের সহিত ঐ মনুষ্যের কোন না কোন প্রকার সম্বন্ধ রাখিয়া দিয়াছেন। সমুয্য যে অবস্থায় অবস্থিত রহিয়াছে, তাহার প্রত্যেক ঘটনা ও প্রত্যেক পদার্থের সহিত তাহার সম্বন্ধ আছে। সেই সকল পদার্থ ও সকল ঘটনাই তাহার শরীর মন ও আত্মার উন্নতির পক্ষে সহায়তা করিয়া থাকে। যিনি ধৰ্ম্ম পথে কতক দূর মাত্র গমন করিয়াছেন, তিনিই দেখিয়াছেন যে, কত সময়ে এক একটী বিশেষ ঘটনা বা পদার্থ দ্বারা প্রত্যাহত বা উত্তেজিত হইয়া ধৰ্ম্ম বিষয়ক এক একটী সত্য লাভ করিয়াছেন। কত সময়ে এক এক জন মহাত্মার উৎসাহ-জনন জ্ঞানগর্ভ উপদেশ পাইয়া ধৰ্ম্ম সাধনে দৃঢ়ব্ৰত হইয়াছেন, কত সীমান্য ঘটনা উহাকে প্রচুর উপদেশ প্রদান করির উiহার মনে চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে। এই সকল দেখিলে কে না প্রতীতি করিবেন যে আমরা যে অবস্থায় আছি, ইহা আমাদের জ্ঞানোন্নতি ও ধৰ্ম্মোন্নতির বিশেষ উপযোগী। কৰুণাময় ঈশ্বর কত প্রকারে আমাদিগকে শিক্ষা দেন, কত প্রকারে আমাদের উন্নতি বিধান করেন, তাহ কে নির্ণয় क