এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- R : ---- জীবমে তাছা জড় পদার্থকে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে, তাহার নাম জীবাত্মা ; সাধারণতঃ আত্মাও বলা যায়। আত্মার প্রতি বিশেষ রূপে দৃষ্টি করিলে তাহার যে সমস্ত গুণ দেখা যায়, তৎসমুদায় বিবিধ প্রকরণ অনুসারে বিভাগ করিলে দুইটী প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত হয় । যদিও কোন কোন পণ্ডিতের মতে এই ছুইটী শ্রেণী পুনরায় চারি শ্রেণীতে বিভক্ত হইয়া ভিন্ন ভিন্ন নাম প্রাপ্ত হইয়াছে, কিন্তু এই প্রস্তাবে আমরা ঐ সমস্ত লক্ষণকে কেবল দুই প্রধান শ্রেণীভুক্ত গণ্য করিলেই যথেষ্ট হইবে, এ নিমিত্ত আত্মার সমুদায় গুণকে মামসিক এবং তাধ্যাত্মিক এই দুই প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত গণ্য করা গেল । এই প্রকার বিভাগের পর মমুষ্যের বৃত্তি ও প্রৱত্তি সমুদণয়ের প্রতি দৃষ্টি করিলে সেই সকলকে শারীরিক, মানসিক এবং অধ্যাত্মিক এই তিন ভাগে বিভক্ত দেখা যায় ; তন্মধ্যে আমাদের মনোৰ্বত্তি সকল শরীরিক বৃত্তি সমুদায় অপেক্ষ শ্রেষ্ঠতর এবং আধ্যাত্মিক গুণসমূহ সকলের অপেক্ষণ শ্রেষ্ঠতম। এই নিমিত্ত শরীর নাশে আমরা ষত দূর ক্ষতিগ্রস্ত হইব, মনের বিনাশ হইলে আমরা তদপেক্ষণ অনেক গুণে, অধিকতর রূপে ক্লিষ্ট হইব, কিন্তু আত্মার মাশে ষে দুঃখ তাহার সহিত কোন প্রকার ক্লেশের তুলনা হইতে পারে মা ! “ আত্মার নাশ ’ হয় তে। এই বাক্য শ্রবণ মাত্র অনেকে চমকিত হইতেছেন, আত্মা অবিনশ্বর অনন্ত, তাহার আবার নাশ কি ? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা অতি সহজেই প্রাপ্ত হই। কিঞ্চিৎ প্রণিধান করিয়া দেখিলেই বুঝিতে পারি ধে, আত্মার অধোগতি অথবা আধ্যাত্মিক সমুদায় বৃত্তি নিস্তেজ ও অকৰ্ম্মণ্য হইয়া যাওয়াই আত্মার নাশ । জীবন এক কালে বিনষ্ট হইলে তত ক্ষতি নাই, কিন্তু জীবিতfবস্থাতে যদি সমুদায় অঙ্গ এক কালে পঙ্গু হইয়া যায়, হস্ত পদাদি চালনা করিবার কিছুমাত্র শক্তি না থাকে তাহা অপেক্ষ ক্লেশ আর কি আছে ? মৃতু্যযন্ত্রণ সহস্ৰ বার সহ করা যাইতে পারে, কিন্তু এ প্রকার অবস্থায় মুহূর্ত মাত্রও