এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: 13 - সমুদায়ই এক হইয় যায়, যথেচ্ছাচারিতাই আমাদের সকল্প কার্ঘ্যের মূল হইয় পড়ে, এরূপ জঘন্য কোন কাৰ্য্যই থাকে না যে, তাহ ঈশ্বর শূন্য অণয় কৰ্ত্তক সম্পন্ন হইতে না পারে। আমরা হয় তো মনে করতে পারি যে, অনেক ব্যক্তিকে এরূপ দেখা গিয়াছে যে তাহারা ঈশ্বরে কিছুমাত্র বিশ্বাস করেন না, তথচ কার্য্যতঃ অধৰ্ম্মাচরণ কিছুই করিতেছেন মা ; ইহা সত্য হইলেও ঈশ্বর-শূন্য হওয়াতে এই সমস্ত ব্যক্তিদিগকে চিরকাল ধৰ্ম্মপথে স্থির রাখিতে পারে তাহার প্রতিভূস্বরূপ ধৰ্ম্মগ্রন্থি কিছুই নাই ; অনাবশ্যক বিবেচনায় অথবা প্রলোভনের বলের নিতান্ত তাধিক্য না থাকায় তাহার এক্ষণে যে সকল অসৎ কার্য্য হইতে নিরন্তু তাছেন— যখন সংসরের প্রলোভন নিতান্ত প্রবল হুইয়া উঠিবে অথবা কোন উদ্দেশ্যবিশেষ সহ সাধনের নিমিত্ত সেই সমস্ত কার্য্য নিতান্ত প্রয়োজনীয় হইবে, তখনও তাহার যে তা হা হইতে নিৰ্বত্ত থাকিবেন ত৷হার কিছুমাত্র স্থিরতা নাই ; র্যাহার। কোন মতে আপন দায়িত্ব স্বীকার না করেন, তাহারা কি নিমিত্তেই বা ঐ সকল কাৰ্য্য ত্যাগ করবেন, তাহারও কিছুমাত্র কারণ দেখা যায় না। কোন এক কাৰ্য্য না করা এবং সেই কাৰ্য্য করিতে ন পারণ এই দুয়ের মধ্যে অনেক প্রভেদ । ঈশ্বর পরায়ণ সাধু যে ভাসৎ কাৰ্য্য কোন মতেই করিতে ন পারেন এবং যাহার অসৎ চিন্তু হইতেও তিনি মিরত থাকেন, ঈশ্বরশূন্য মনুষ্য ইচ্ছা করিলে সেই কায্য স্বচ্ছন্দেই করিতে পারে । ঈশ্বরই একমাত্র ধৰ্ম্মপথের নেতা এবং ধৰ্ম্মের প্রবর্তক, অস্তুর স্বাধীনতা এবং ঈশ্বরের নিকট তাপম কয্যের জন্য দায়িত্বই অণমাদিগকে ধৰ্ম্ম পথে স্থির রাখার মূল কারণ ; ঈশ্বরের প্রিয় কাৰ্য্য সাধন এবং ঈশ্বরউদ্দেশে সমুদায় ফগর্য্য করাই ধৰ্ম্ম ; ঘ}দ ঈশ্বরেই বিশ্বাস না করিলাম, যদি সেই দায়িত্বই এক কালে উন্মলিত হইল, তাহ হইলে আর ধৰ্ম্ম কোথায় ; ধৰ্ম্ম কেবল মাম মাত্র হইয় পড়ে, তাহার প্রকৃত অস্তিত্ব কিছুই থাকে না। যেখানে ধৰ্ম্মই নাই, সেখানে ধৰ্ম্মাচরণ কি রূপে