এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- یہ 8 .... بہ۔ সন্তবে, ধৰ্ম্মপথই মাই, তবে ধৰ্ম্মপথে চলা কি প্রকারে সম্ভব হইতে পারে। এই রূপে দেখা যায় ষে, যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস না থাকে, তাহা হইলে আমরা ধৰ্ম্মীচরণ করিতে পারি মা ; ঈশ্বরকে অন্তরিত করিয়া আত্মার ধৰ্ম্মপথে স্থির থাক দূরে থাকুক,সে ধৰ্ম্মপথকে প্রাপ্ত হইতেও পারে না। ঈশ্বরশূন্য, জীবনরহিত আত্ম যে কাৰ্য্য করে, তাহা কোন এক প্রৱত্তির চরিতীৰ্থত৷ সাধন ভিন্ন ধৰ্ম্মাচরণ নহে, এবং সেই কার্য্যেতে সে আত্মা যে সৰ্ব্ব কালে দৃঢ় থাকিবে, তাহারও কোন সম্ভাবনা নাই ; বরং স্বেচ্ছাচারিতার দাস হইয়া ক্রমে আধোগতি প্রাপ্ত হইবারই সম্পূর্ণ সম্ভাবন। সেই অবস্থা কি শোচনীয় ? যেখানে আমাদের সম্পূর্ণ প্রভুত্ব থাকা আবশ্যক সেই খানেই যদি দাসত্ব স্বীকার করিতে হইল, তাহ হইলে আর আমাদের দুঃখের শেষ কোথায় ? ষে ইন্দ্রিয় ও মনোৱত্তি সমুদায়ের উপর আত্মা রাজত্ব প্রাপ্ত হইয়া আপন কৰ্ম্মফলে তাহণদেরই অধীনত্ব স্বীকার করিতেছে; এমন বল নাই, এমন স্বাধীনতা নাই যে, প্রৱত্তির প্রতিকুলে কিছুমাত্ৰ কাৰ্য্য করিতে পারে, আপন ইচ্ছানুসারে এক পদ মাত্রও অগ্রসর হইতে পারে, তখন আর কন্টের কি সীমা থাকে, বিশেষতঃ যখন ইন্দ্রিয় সমুদায় নিতান্ত প্রবল হইয়। আমাদিগকে কুপথে লওয়ায়, অথচ আমরা যে তাহদের দাস হইয়া, তাহার। যে দিকে লওয়াইতেছে সেই দিকেই গমন করিতেছি, স্বীয় স্বাধীনতাম্বুসারে কিছুমাত্র কার্য্য করিতেছি মা, ইহা আমাদিগকে জনিতেও দেয় না, যখন পুস্পহারস্ৰমে দাসত্বশৃঙ্খলকে ধারণ করি, শ্রেয় বোধে প্রেয়ের পথকে অবলম্বন করি, কোথায় গমন করিতেছি তাহা কিছুই বুঝিতে পারি না, কি দুরবস্থা হইতেছে তাহ কিছুই অনুভব করিতে শক্ত হই না, তখন আর শোকের পরিসীমা থাকে মা, তখন এক কালে দুঃখের পর কণষ্ঠ প্রাপ্ত হই, ষার পর মাই জখম্য অবস্থায় পতিত হইয়া ক্রমিকই শোক করিতে থাকি। " আত্মণকে এই প্রকার মহাবিনাশ হইতে রক্ষা করিবার কোম উপায় আছে কি অ' ? কোন ঔষধ দ্বারা আমরা এই মহৎ রোগ